শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
উপমহাদেশের পার্বনের দিনপঞ্জিতে গুরুত্বপূর্ণ তিথি 'জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা' । পঞ্জিকা অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান । মনে করা হয় এই দিন ধরাধামে অবতীর্ণ হন দারুব্রহ্ম জগন্নাথ । স্নানযাত্রাকে শুধু ওড়িশা নয়, একাধিক রাজ্য এমনকি প্রতিবেশী দেশেও পালিত হয় মহাসমারহে । ওড়িশার পুরীতে বিষ্ণুর অবতার জগন্নাথদেব এর মন্দির রয়েছে । চারধামের অন্যতম এই শহরে স্নানযাত্রা ও রথযাত্রা এই দুটি অন্যতম উৎসব । দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগমে সৈকত শহর রীতিমতো গমগম করে ওই সময় । পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহন বিগ্রহকে জগন্নাথ মন্দির থেকে স্নানবেদীতে বের করে আনা হয় । সেখানে তাদের প্রথাগতভাবে স্নান করানো হয় এবং ভক্তদের দর্শনের জন্য সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত করা হয় । ভক্তদের বিশ্বাস, এ দিন জগন্নাথ দর্শনে সমস্ত পাপ খণ্ডন হয়।
স্নানযাত্রার পূর্বসন্ধ্যায় জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহনের বিগ্রহ একটি বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয় । স্নানযাত্রার দিন মন্দিরের উত্তর দিকের কূপ থেকে জল এনে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তা পবিত্র করা হয় । তারপর ১০৮টি কলসে সেই জল নিয়ে বিগ্রহগুলিকে স্নান করানো হয়।এইদিন সন্ধ্যায় স্নানপর্বের সমাপ্তির পর জগন্নাথ ও বলভদ্রকে গণেশের রূপে সাজানোর জন্য হাতির মুখের মতো মস্তকাবরণী পরানো হয় । জগন্নাথের এই রূপটিকে বলা হয় 'গজবেশ'।
(1/5)প্রথাগত বিশ্বাস , স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এই সময় তাকে রাজবৈদ্যের চিকিৎসাধীনে গোপন একটি কক্ষে রাখা হয় । জগন্নাথের এই অসুস্থতার পর্যায়টি 'অনসর' নামে পরিচিত। এই সময় ভক্তেরা দেবতার দর্শন পান না । তাদের দর্শনের জন্য বিগ্রহের পরিবর্তে মূল মন্দিরে তিনটি পটচিত্র রাখা হয় । কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক 'পাঁচন' খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন । রথযাত্রার দিন জগন্নাথ সাধারণ মানুষকে মন্দিরের বাইরে দর্শন দেন ।
(2/5)স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র পুরীই নয়। সেজে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের মাহেশ । পুরীর পর সবচেয়ে প্রাচীন জগন্নাথ তীর্থ হল এই মাহেশ।/ সারাদিন দুধে জলে ভক্তদের হাতে স্নান করবেন জগন্নাথ , বলরাম ,শুভদ্রা । এ বছর ৬২৮ তম বর্ষ । সকাল থেকে পুণ্যলোভাতুর মানুষের ভিড়ে মাহেশ তীর্থ সরগরম হয়ে উঠেছে । এ বছর 'মোক্ষ যোগ' রয়েছে । ফলে আজ সারাদিন জগন্নাথ , বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ প্রকাশ্যে রাখাই রীতি । মায়াপুর ইস্কনের জগন্নাথ মন্দিরে, উত্তরপূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাতেও মোহা সমারোহে স্নানযাত্রা পালিত হচ্ছে । পুরীতে যে রীতি অনুযায়ী জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা পালিত হয়, মোটামুটি সব ক্ষেত্রে একই নিয়ম পালিত হয় । প্রতিবেশী বাংলাদেশের সিলেটে নরসিংদিতে, ইস্কন মন্দিরে পালিত হচ্ছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা । অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে । সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের সমাবেশে পদ্মাপাড়েও উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে ।
(3/5)বাংলার সঙ্গে ওড়িশার পুরীর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে । মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের আমল থেকে এ বাংলার সঙ্গে ওড়িশার নিবিড় আত্মীয়তার সম্পর্ক । যার প্রতিফলন দেখতে পাই দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে । ১৮৫৫ সালে ৩১ মে গঙ্গার তীরে জানবাজারের রাণী রাসমণি নবরত্ন কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন । দিনটি ছিল 'জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা'। পরবর্তী কালে সে মন্দির হয়ে ওঠে নবজাগরণের ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান । রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও তাঁর শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ তো বটেই , এসেছিলেন বিদ্যাসাগর ,ভগিনি নিবেদিতা প্রমুখ । নেতাজী সুভাষচন্দ্র মহাভিনিষ্ক্রমণের পূর্বে তাঁর সঙ্গে রেখেছিলেন এই পুণ্যভুমির মাটি ।
(4/5)শুধু স্নানযাত্রা নয়, আজ শুরু হল অম্বুবাচী তিথি । এই তিথিতে আসামের কামাখ্যা মন্দিরে সারা দেশ থেকে প্রচুর সাধক নীল পর্বতে আস্তানা গাড়েন । বহু তীর্থযাত্রী ওইদিন গুয়াহাটিতে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে প্রার্থনা করতে যান । সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম এই তন্ত্রসিদ্ধভূমি কামাখ্যা । মনে করা হয়,তন্ত্র সাধনার সবচেয়ে উৎকৃষ্টতম পীঠ এই কামরূপ কামাখ্যা । সংলগ্ন বশিষ্ঠ মুনির আশ্রমেও হাজির হন বহু ভক্ত।
(5/5)
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34