- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
কোচবিহার থেকে কেন্দ্রের, সিএএ, এজেন্সির সমালোচনা
কোচবিহারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে সিএএ-র তীব্র বিরোধিতা করেন। পাশাপাশি বলেন, দলে এক শতাংশ মানুষ চুরি করলে সেই দায় সরকার বা দল নেবে না।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিএএ বিরোধিতার উত্তরে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “সিএএ হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুখতে পারবেন না। দরকারে সরকার ফেলে দিয়ে সিএএ হবে। কারও সাধ্য নেই সিএএ রোখে।”
এদিকে তৃণমূলকে বিরোধিদের চোর বলে গাল দেওয়ার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রতিবাদ করে বলেছেন, “দলের ১ শতাংশ চুরি করলে সেই দায় দল বা সরকার নেবে না। আমি সরকারি গেস্ট হাউসে থাকলেও টাকা দিয়ে থাকি। আমি মাইনে নিই না।”
তৃণমূলনেত্রীর এই মন্তব্যের উত্তরে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তো ছবি আঁকেন না। মাইনে নেন না বলে দাবি করেন। তাহলে ওনার টাকা আসে কোথা থেকে? হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কতগুলি বাড়ি ওনার পরিবারের লোকেদের নামে আছে তো? সোনা চুরির ঠিকানাও তো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানার সঙ্গে এক।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে চোর বলতাম, এখন বলছি চিটিংবাজ। উনি তো এখন ছবি আঁকেন না ছবি কেনার লোক নেই বলে। গান লিখে রয়্যালটি পান বলছেন, এখন কি সিডি, ক্যাসের বিক্রি হয়? ওনার লেখা বই বিক্রি করে রয়্যালটি পান বলে দাবি করেন। এখনতো বইমেলা চলছে, খোঁজ নিয়ে দেখুন ওনার কটা বই বিক্রি হয়, উনি কত টাকা রয়্যালটি পান।”
সিএএ নিয়ে কোচবিহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে বলেন, ‘‘এখন ক্যা-ক্যা করে চিৎকার করছে। এটা ফ্যা-ফ্যা ভোটের রাজনীতি করার জন্য। আপনারা সবাই নাগরিক। আপনাদের সবাইকে নাগরিক হিসাবে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি। তারা সবাই রেশন পায়, স্কুলে যায়, স্কলারশিপ পায়, কিসান বন্ধু পায়, শিক্ষাশ্রী পায়, ঐক্যশ্রী পায়, লক্ষ্ণীর ভান্ডার পায়। সে নাগরিক না হলে থোড়াই এ সব পেত? নাগরিক না হলে তারা ভোট দিতে পারত?’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএসএফ ঢুকে আলাদা করে আইডেন্টিটি কার্ড বা পরিচয়পত্র দিতে চাইছে। ওই কার্ড একদম নেবেন না। ওই কার্ড নিলে এনআরসিতে পড়ে যাবেন। আর এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়াই করেছে কারা? রাজবংশী বন্ধুরা আপনার তো সকলেই নাগরিক।’’
এজেন্সি দিয়ে ভোট করার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘ওরা ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়। এজেন্সি দিয়ে ভোট করতে চায়। ভয় দেখিয়ে বলে, তুই যদি আমাদের সঙ্গে না আসিস, তা হলে তোর বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে দেব। ইডি কী করবে? সিবিআই কী করবে? আজ আছে কাল নেই।’’
এদিন উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ও কামতাপুরীর ভাষার ২১০টি স্কুলের স্বীকৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের সভামঞ্চ থেকেই কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার মোট ২১০টি স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতদিন এই স্কুলগুলি একক ভাবে চালানো হচ্ছিল। সেগুলিতে কর্মরত শিক্ষকরা এ বার থেকে সরকারি কাঠামো মেনে বেতন পাবেন। সরকারির স্কুলের সবরকম সুযোগ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে।”
মমতা এদিন বলেন, “২০১১ সালে শীতলখুচির ঘটনা মনে আছে? ভুলে যাননি তো? চারটে ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরে দিয়েছিল। ওরা যখন তখন যাকে তাকে গুলি করে মেরে দেয়। যেন জমিদারি পেয়ে গিয়েছে। আমি মুখ্যসচিব, ডিএম, এসপি-কে বলব, নজর রাখতে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ” বিএসএফ দেশ রক্ষা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। তিনি দেশদ্রোহীতার সমান অপরাধ করছেন।”
❤ Support Us