- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২, ২০২৩
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ, কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার ?
আগামী ১৪ ডিসেম্বর নবান্নর ১৪ তলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করলেন। উপলক্ষ্য, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচনের বৈঠক। শুভেন্দু অধিকারী মমতার এই আমন্ত্রণ পেয়ে ছোট্ট শব্দ “দেখছি” বলে তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। নবান্নের তরফে চিঠি পাঠিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে এই আমন্ত্রণ পত্রটি পৌঁছেছে। এই বৈঠকটি এর আগে ৪ ডিসেম্বর, সোমবার, বিধানসভায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। পরে এই বৈঠকের স্থান ও সময় বদল করে ১৪ ডিসেম্বর নবান্নে করার কথা ঠিক করা হয়েছে। এর আগে বিধানসভায় এই বৈঠক হয়েছিল। তখন আমন্ত্রণ পেয়েও সেই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকেননি।
তবে এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আগে থেকে নাম ঠিক করে বৈঠকে সেই নাম পাশ করিয়ে নিতে চাইছে। তাই পূর্বনির্ধারিত নাম নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি যোগদান করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্যের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন অপরাজিত মুখোপাধ্যায়। সেই পদে কে বসবেন সেই নিয়ে জল্পনা চলছে বেশ কিছু দিন যাবৎ। এই পদের জন্য ৩জন আবেদন করেছেন। এঁদের মধ্যে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন আইপিএস অধীর শর্মা। নবান্নের পছন্দ এঁদের মধ্যে বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রশাসনিক সদস্য করতে চাইছে নবান্ন। নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য নিয়ে রাজ্য মানবিধাকার কমিশন গঠিত হয়। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, জুডিশিয়াল সদস্য হিসেবে আছেন কলকাতা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মধুমিতা মিত্র। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে কাকে নবান্ন দায়িত্ব দেয়। শুভেন্দু অধিকারী এই কারণেই বলছেন, আগে থেকে নাম ঠিক করে নিলে বৈঠকের আর প্রয়োজন কী ?
❤ Support Us