- এই মুহূর্তে দে । শ
- মার্চ ১৪, ২০২৩
কথায় কথায় চাকরি খাবেন না, নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারাদের প্রতি মমতার সহানুভূতির বার্তা
আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। চিত্র: সংবাদ সংস্থা
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুললেন। বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন সেইসব মানুষগুলি আচমকা চাকরি গেলে খাবে কী? এদিন মুখ্যমন্ত্রী আলিপুর আদালতে ঋষি অরবিন্দর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী দৃশ্যত খানিক আবেগাল্পুত হয়েই মন্তব্য করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমি ক্ষমতায় আসার পরেও সিপিএমের কোনও ক্যাডারের চাকরি খাইনি। গতকালই দু’জন আত্মহত্যা করেছেন। আচমকা চাকরি হারানোর ফলেই এই ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, চাকরি পেয়ে যাঁরা বিয়ে করে সংসার পেতেছেন, আচমকা চাকরি খোয়ালে সেই মানুষটি দিশাহারা হয়ে যাবেন।
উত্তরবঙ্গে দু’জনের আত্মঘাতী হওয়ার খবরটা তাঁকে ব্যথিত করেছে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, কথায় কথায় চাকরি খাবেন না। এটা কোনওভাবেই রাজনৈতিক বিষয় নয়। যাঁরা চাকরি খোয়াচ্ছেন, তাঁদের জন্যে বিকল্প কাজের কী ব্যবস্থা করা যেতে পারে, সেই পথই খুঁজে বের করতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দরকার হলে আমাকে মারুন। ছাত্র-যৌবনের অন্ন সংস্থানের অধিকার কেড়ে নেবেন না।
আলিপুর আদালতে এই অনুষ্ঠানে হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের উপস্থিতিতেই একথা বলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সুব্রতদাকেই আমার মনের কথা জানিয়ে গেলাম।
নিয়োগ দুর্নীতি বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে বহুল চর্চিত বিষয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ ডি-এর পরবর্তী দফাতে গ্রুপ সি ক্যাটাগরির ৮৪২জনের চাকরি বাতিল করেছেন। এঁরা সকলেই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে জানাজানির পরে আদালত ওঁদের চাকরি বাতিল করে। এই ঘটনার আগেও রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে, যেগুলি বেআইনিভাবে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কথায় কথায় কখনও তিন হাজার, আবার কখনও চার হাজার চাকরি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। নীচুতলার কেউ অন্যায় করে থাকলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব। যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদের প্রতি দয়া আমার নেই। আমি নিজে জীবনে জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশরঞ্জন বলেছে্ন, মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি থেকে অব্যাহতি পেতে চাইছেন। যদিও মানুষকে বোকার ভাবার কোনও কারণ নেই।
❤ Support Us