- দে । শ
- এপ্রিল ১৫, ২০২৪
বসিরহাট কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী নিরাপদ সর্দার হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছে

হিঙ্গলগঞ্জ নিয়ে এবার লোকসভা ভোটে চাপে আছে কেন্দ্র ও রাজ্যের যুযুধান ২ শাসক দল বিজেপি এবং তৃণমূল। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। সিপিএমের প্রার্থী নিরাপদ সর্দার এবার এই বিধানসভা ক্ষেত্রে চাপে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপিকে। প্রার্থী হওয়ার পর আজ হিঙ্গলগঞ্জে প্রচারে যান নিরাপদ সর্দার। সিপিএম প্রার্থীকে ঘিরে মানুষের মধ্যে এত উচ্ছ্বাস অনেকদিন দেখা যায়নি। দুলদুলি থেকে নদী পার হবার সময় নিরাপদকে পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন এলাকার মানুষ। তিনি যে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবেন তা আশা করেন নি সিপিএম প্রার্থী স্বয়ং। ফুলের মালায় নদীর ঘাটে নিরাপদ সর্দারকে বরণ করে নেন এলাকার মানুষ। সিপিএমকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ার কথা না তৃণমূল কিংবা বিজেপির। কেননা, ২০১৯–র লোকসভায় তৃণমূলের নুসরত জাহান ৯৫৯৮৬ ভোট পেয়েছিলেন, বিজেপির সায়ন্তন বসু পেয়েছিলেন ৭৩৭৫৯ সেখানে সিপিআইয়ের পল্লব সেনগুপ্তর মত বাম রাজনীতিক মাত্র ৬০৮১ ভোট পেয়েছিলন। কিন্তু এবার সিপিএম প্রার্থী নিরাপদর গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচারের ঝাঁঝ দেখে শাসক দলের কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। ভোটের অঙ্ক বলে দিচ্ছে গতবার নিচু তলার বাম ভোটে রামে চলে গিয়েছিল। যে কারণ বিজেপি ভোট লাফিয়ে বেড়ে যায়। এবারে কিন্তু সেটা কতখানি কার্যকর হবে তা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি যেমন আছে তৃণমূলও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তার ওপর ব্লক তৃণমূলের দাপুটে নেতা সহিদুল্লা গাজি ছেলের চিকিৎসা করাতে রাজ্যের বাইরে রয়েছে। ফলে তৃণমূলের ভোট প্রচার এখনও তেমন জোরালো হয়ে ওঠে নি। এখনও দায়িত্ব বন্টন সেভাবে হয়নি। সিপিএম তার পুরনো জায়গায় সংগঠনকে অনেকটা চাঙ্গা করে নিয়েছে নিরাপদকে সামনে রেখে। গতবার বামফ্রন্টের শরিক হলেও সিপিআই–র হয়ে সব স্তরের সিপিএম ভোট পল্লব সেনগুপ্ত পান নি। সিপিএম নিচু তলার কর্মীদের বোঝাতে সক্ষম যে এবারে সিপিআই নয় বাম প্রার্থী সিপিএমের। ফলে কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূলকে জবাব দিতে হবে ভোটে। সিপিএম তার ভোট কতটা ফেরাতে পারবে এই প্রশ্ন এখন বিজেপি–তৃণমূলের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
❤ Support Us