- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ১, ২০২৪
মায়াঙ্ক গতিতে বিস্মিত ক্রিকেটমহল । স্পিডস্টারের চোট নিয়ে সতর্ক লখনউ টিম ম্যানেজমেন্ট
আইপিএল জন্ম দিয়েছে অনেক তারকার । যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ থেকে শুরু করে অর্শদীপ সিং, হর্ষাল প্যাটেলের মতো জোরে বোলাররা উঠে এসেছেন আইপিএল মঞ্চ থেকে । আরও এক নতুন প্রতিভার উঠে আসার কাহিনী রচিত হল শনিবার, লখনউ সুপার জায়ান্টস ও পাঞ্জাব কিংস ম্যাচে । আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই ১৫৫.৮ কিমি গতিতে বোলিং করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মায়াঙ্ক যাদব । মোক্ষম সময়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া পাঞ্জাবের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে তুলে নিয়ে লখনউকে দুর্দান্ত জয় এনে দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী মায়াঙ্ক । তাঁকে নিয়েই ক্রিকেটমহলে এখন জোর চর্চা ।
একসময় পাঞ্জাবের রান ছিল কোনও উইকেট না হিরিয়ে ১০২ রান । আইপিএলের অভিষেক ওভার ভাল না হলেও দ্বিতীয় ওভারে দারুণভাবে নিজেকে মেলে ধরেন মায়াঙ্ক । চতুর্থ বলে তুলে নেন জনি বেয়ারস্টোকে । পরের ওভারে প্রভসিমরন সিংকে। এরপর জিতেশ শর্মাকে ফিরিয়ে পাঞ্জাবের জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন । ম্যাচ শেষে বোলিং বিশ্লেষণ ৪ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট । এর মধ্যেই নিজের দ্বিতীয় ওভারে শিখর ধাওয়ানকে করা প্রথম বল ছুঁয়ে যায় স্পিডমিটারের ১৫৫.৮ কিমির কাঁটা । তরুণ জোরে বোলারকে ম্যাচের সেরা বেছে নিতে দ্বিধা করেননি জুরিরা ।
আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই এই রকম গতিতে বল, তার ওপর ম্যাচের সেরা । বিশেষজ্ঞরা যেমন মুগ্ধ, নিজের পারফরমেন্সে অবাক মায়াঙ্ক যাদবও । ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘এইরকম স্বপ্নের অভিষেক হবে, কখনও ভাবিনি । ম্যাচের শুরুতে যথেষ্ট নার্ভাস ছিলাম । তবে লক্ষ্য ছিল পুরো গতিতে স্টাম্পে বল রাখার । স্লোয়ার দেওয়ারও চিন্তাভাবনা ছিল । তবে গতি দিয়েই আঘাত করার পরিকল্পনা ছিল ।’
আইপিএলের অভিষেক উইকেট জনি বেয়ারস্টো । যে কোনও তরুণ বোলারের কাছে বেয়ারস্টোর মতো ব্যাটারকে আউট করাটা দারুণ ব্যাপার । মায়াঙ্কের কাছেও অন্যরকম গুরুত্ব । তাঁর কথায়, ‘বেয়ারস্টোর উইকেট আমার কাছে সত্যিই স্পেশাল। তরুণ বয়সে এইরকম অভিষেক আমার কাছে দারুণ ব্যাপার ।’ তবে আশঙ্কাও রয়েছে মায়াঙ্কের, ‘সামনে কয়েকটা লক্ষ্য রয়েছে । যদি এগিয়ে যাওয়ার পথে চোট বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সমস্যা হবে ।’ চোট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারই কথা মায়াঙ্ক যাদবের । চোটের জন্য গত মরশুমে পুরো আইপিএল মরশুম মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল । এমনকী, এই মরশুমে রনজিতেও অনেকটা সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল । এবছর তাঁকে নিয়ে সতর্ক লখনউ টিম ম্যানেজমেন্ট ।
চোট প্রসঙ্গে মায়াঙ্ক বলেন, ‘আমার একটা সাইড স্ট্রেন ছিল । বিজয় হাজারে ট্রফিতে পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল । চোট জোরে বোলারদের অংশ । গত দেড় বছরে ২–৩ বার বড় ধরণের চোট পেয়েছি । যা আমার উত্থানের পেছনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । চোটের জন্য গতবছর আইপিএলে খেলতে পারিনি ।’
মায়াঙ্কের আদর্শ ডেল স্টেন । তাঁর প্রিয় জোরে বোলারই মায়াঙ্কের গতি দেখে হতবাক । এক্স হ্যান্ডেলে স্টেন লেখেন, ‘১৫৫.৮ কিমি প্রতি ঘন্টায় ! মায়াঙ্ক যাদব, তুমি কোথায় লুকিয়ে ছিলে?’
155,8 KPH
Mayank Yadav where have you been hiding!
— Dale Steyn (@DaleSteyn62) March 30, 2024
স্টেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মায়াঙ্ক বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র ডেল স্টেনকে অনুসরণ সরি । স্টেন আমার আদর্শ ।’ নিজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য দলের জন্য ধারাবাহিকভাবে ভাল বোলিং করা এবং যতটা সম্ভব কম রান দিয়ে দলকে সাহায্য করা । গতি আমার কাছে প্লাস পয়েন্ট । আমি সবসময় গতি ব্যবহার করার চেষ্টা করি ।’
অন্যদিকে রবিবার বিশাখাপত্তনমের ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে ২০ রানে দিল্লি ক্যাপিটালস । আর ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল গুজরাট টাইটান্স । নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে ৭ উইকেটে ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স । নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রান তোলে হায়দরাবাদ । দুরন্ত বোলিং করে হায়দরাবাদকে আটকে রাখেন মোহিত শর্মা (৩/২৫) । ৫ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট । দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাইকে ২০ রানে হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস । টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি । ২০ ওভারে ১৯১/৩ তোলে দিল্লি । ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারের মধ্যেই ৭ রানে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (১) ও রাচিন রবীন্দ্রর (২) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই । ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ১৭১/৬ তোলে চেন্নাই । শেষ দিকে ঝড় তুলে ১৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি । ১৭ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র জাদেজা । ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মুকেশ কুমার ।
❤ Support Us