- দে । শ
- জুন ৭, ২০২৩
কলকাতা পুলিশের দায়িত্ব থেকে সরানো হল আইপিএস দময়ন্তী সেনকে

আবার বদলি করা হল আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল পুলিশ কমিশনার পদে ছিলেন তিনি। এবার কলকাতা পুলিশ থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হল ‘এডিজি ট্রেনিং’ পদে। এই পদ পুরস্কার না তিরস্কার তা নিয়ে পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সেই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যাঁদের ওপর তদন্তভার ন্যস্ত করেছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দময়ন্তী সেন। সেই কারণেই তাঁকে “তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ” পদে বদলি করা হল কি না সেটা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। তাছাড়া কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে দময়ন্তী সেনকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রেখেছে। তার পর দময়ন্তী সেনের মতো দক্ষ আইপিএসকে এভাবে বদলি করা যথেষ্ট আলোচনার অবকাশ তৈরি করছে।
এর আগেও আমরা দেখেছি,দময়ন্তী সেনকে কলকাতা পুলিশের পদ থেকে সরিয়ে দোওয়া হয়েছিল। সেই বদলি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। পরে ২০১৯ সালে আবার কলকাতা পুলিশে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। এবার আবারও তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরিয়ে “এডিজি ট্রেনিং” পদে বদলি করা হল।
২০১০ সালে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পদের দায়িত্বে ছিলেন দময়ন্তী সেন। তিনিই লালবাজারের প্রথম মহিলা গোয়েন্দা প্রধান। ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই ঘটনায় যেভাবে কম সময়ের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাতে চর্চায় উঠে আসে এই আইপিএস অফিসারের নাম। শাসকদল তাঁর এই তৎপরতা সেই সময় ভালো চোখে দেখেনি।
তাই তদন্তে সাফল্য আসার পরও তাঁকে সরতে হয় কলকাতা পুলিশ থেকে। কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে নিযুক্ত করা হয় দক্ষ এই মহিলা আইপিএসকে। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি রেঞ্জে বদলি করা হয় দময়ন্তী সেনকে। তারপর তাঁকে পাঠানো হয় সিআইডি-তে। সেখানে ডিআইজি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে তিনি কলকাতা পুলিশে ফেরেন অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে। তবে আবারও তাঁকে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদ থেকে রাজ্য প্রশাসন সরিয়ে দিল।
❤ Support Us