- দে । শ
- জুলাই ১৩, ২০২৪
বাড়তি পণের চাপ, বিয়ের ৪ মাস পর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কলেজছাত্রীর

বিয়ের মাত্র ৪ মাসের মাথায় উদ্ধার ঋত্বিকা চ্যাটার্জি ঘোষ (২০) নামে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ। কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি গ্রামের ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য। ঋত্বিকার শ্বশুরবাড়ির দাবি, আত্মঘাতী হয়েছে ঋত্বিকা। বাপেরবাড়ির অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ঋত্বিকাকে। বাড়তি পণের চাপ দিয়ে ব্যর্থ হওয়াতেই শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়েছে ঋত্বিকাকে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ ঘটনার পর থেকেই ঋত্বিকার শ্বশুর-শাশুড়ি এলাকাছাড়া।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রের খবর, কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা কাটোয়া কলেজের ইতিহাস অনার্সের প্রথম বর্ষে পড়ার সময়েই ঋত্বিকার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি গ্রামের যুবক অসীম ঘোষের। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অসীম সৌদি আরবে কর্মরত। ফেসবুক সূত্রে ঋত্বিকার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মাস চারেক আগে ঋত্বিকার বিয়ে হয় অসীমের সঙ্গে। বিয়ের পর কিছুদিন কাটানোর পর গত ১৮ মার্চ অসীম কর্মক্ষেত্রে চলে যান। ঋত্বিকার মা অদিতি চ্যাটার্জির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দুজনের ইচ্ছে থাকায় তারা বিয়েটা মেনে নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান করেই বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পণ হিসেবে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি সোনা ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যৌতুক দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে কাটোয়া শহরের ন্যাশনাল পাড়ায় অসীমের পরিবার একটি বাড়ি করে। অদিতি বলেন, ‘সেই বাড়ি তৈরির জন্য ৫ লাখ টাকা চেয়ে ঋত্বিকাকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। নির্যাতন করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত গলা টিপে মেরে দিল।’ নির্যাতনের জেরে কয়েকদিন আগে বাপেরবাড়ি চলে যায় ঋত্বিকা। বুঝিয়েসুজিয়ে গত মঙ্গলবার ঋত্বিকাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠান তার বাবা-মা। তারপরই অঘটন।
❤ Support Us