Advertisement
  • ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
  • জুন ৫, ২০২২

দশ ইঞ্চি প্রজাপতি

পর্ব ৬

সাধন চট্টোপাধ্যায়
দশ ইঞ্চি প্রজাপতি

অলঙ্করণ: দেব সরকার

ন্যা
দুপুর রোদে ফ্লাট থেকে পা দিতেই উৎপলার মন প্রজাপতির মতো উড়ুউড়ু । ভেতরের গলতাই রাস্তাটা ধরে সিঁড়ি বেয়ে ফ্লাইওভারে উঠল। সরকারি নানা সম্পত্তির মতো একটু দূরে, গোড়াতেই বুলডোজারটা দাঁড়িয়ে । এতটা দূরে দাঁড়িয়ে, লোগোর মতো যন্ত্রটার মাথায় দশইঞ্জি লম্বা প্রজাপতিটাকে খেয়াল হল না । মনস্থ করেছিল ফুটের দোকানঘুরে একটা নাইটি কিনবে। সে জন্ম থেকেই এ শহরের মেয়ে। শখের পুরের। ডাকনাম বেণু।
বেণুর পোষাকি নাম উৎপলা। শখের পুরের সব্বাই জানে, এমন কি ক্লাশের পুরনো কিছু বন্ধুবান্ধবরাও তাদের কারও সঙ্গে প্রায় উৎপলার যোগাযোগ ছিন্ন। শ্বশুর বাড়ি ভাগলপুর। কয়েকশো কিলোমিটার দূর। সেখানে বৌ হিসেবে উৎপলা! রূপের ওই-আগুন দেখে তারা ‘দেবী’ নামটি চালু করতে চেয়েছিল ।  এমনকি রবিশেখর ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেবী-র আদরে লক্ষ করেছে ডাকটি নতুন বউয়ের না-পছন্দ। ছাঁটফাট পলা নামটুকুর অনুমোদন দেয়নি। অথচ, এই শখেরপুরে পাকাপাকি আস্তা আস্তা গড়বার আগে সে জানতনা। বেণু নামে একটি ডাক শহরের পুরনো বাতাসে আজও ভেসে বেরায়। ছেলে-মেয়ে সিনিয়র জুনিয়াররা সকলেই বেণু বা বেণুদি বলে সম্বোধন জানায়। তখন থেকেই অবয়বহীন, অপ্রমান্য, অচেনা একটা যন্ত্রণা রবিশেখরের অবচেতনে খেলে বেরাত । সম্বরণ করতে হয়েছে। ছেলের জ্ঞান হবার পর থেকেই তো বটেই। হয়তো এ-ভাবনাটা রবিশেখরের ভুল। ভাগলপুর হলে না হয় নিজেই পৌরষত্ব খুঁচিয়ে ফয়সলার চেষ্টা করত। এখানে সে একপ্রকার সুখের খাঁচায় পোষা তোতাপাখি। কখনো ধন্দেও পড়তে হয়। অহেতুক নিছক সুন্দরী ও প্রাণোচ্ছল বলে, স্ত্রীকে সন্দেহে বিদ্ধ করছে না তো ? হঠাৎ হঠাৎ উৎপলা উচছল ভঙ্গিতে খেলার ছলে রবিশেখরের প্রতি রুটি মাখন ছড়িয়ে দেয়। রবিশেখর আসল-নকল এর ফাঁরাক খুঁজতে খুঁজতে নিজেকে গুলিয়ে ফেলে। অহেতুক সন্দেহ মানুষের একটা দুর্বলতা, পাপ । দোলাচল চলতেই থাকে ।বুঝতে পারে না, জীবন প্রকৃত অর্থে একটি মনগড়া স্বপ্নের কুহকের মধ্যে রক্তমাংসে গঠিত জিনের কিছু নিয়ম কানুন। রবিশেখর বুঝে উঠতে পারে না, তার স্বভাবের সরলতা, অকপটতা, চাকুরিজীবনের সফল সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ও কিছুটা স্ত্রৈণতা সত্ত্বেও, উৎপলার মনের গভীরে আসলপুরুষের জন্য অতৃপ্ত হাহাকার আছে। ভাগলপুরের পর্বে এতসব জটিলতার পাঠ টের পায়নি।

চারতলার মাথায় কাটলোহার ফ্রেমখাটানো বড় বড় কোম্পানির হোর্ডিং। নিশ্চয়ই চুক্তিতে ফ্ল্যাটের মালিক ভালো মাল্লু পাচ্ছে। মন্দ নয় আইডিয়াটা। বাৎসরিক চুক্তি করলে তো, চারতলার ছাদটা তারাও লিজ দিতে পারে। রবিকে প্রস্তাবটা কি দেবে?

ফ্লাইওভারে দাঁড়িয়ে এখন টের পাওয়া যাচ্ছে না, নীচে শখের পুর শহরটির উন্নয়ণ ও জীবিকা টিকিয়ে রাখার পক্ষে-বিপক্ষে বিপুল একটি কুরুক্ষেত্র চলছে। বাসগুলো সব হর্ণ বাজিয়ে ছুটে যাচ্ছে, সহিস হাঁকছে নির্দিষ্ট স্টপেজে অপেক্ষামান যাত্রীদের , ভেতরের সিটে কেউ কেউ কৌতূহলে উঁকি দিচ্ছে। আকাশ রেখা দ্রুত বদলে যাওয়ার মধ্যে পুরনো শখেরপুরের কথা ভাবছে। অটো ছুটছে, লরি-টেম্পো, আর ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে। হাইভোলেটজ তারের ছোঁয়ায় ট্রেনগুলোর আসা যাওয়া। উৎপলা লক্ষ করে, আবসনের কারো কারো চারতলার মাথায় কাটলোহার ফ্রেমখাটানো বড় বড় কোম্পানির হোর্ডিং। নিশ্চয়ই চুক্তিতে ফ্ল্যাটের মালিক ভালো মাল্লু পাচ্ছে। মন্দ নয় আইডিয়াটা। বাৎসরিক চুক্তি করলে তো, চারতলার ছাদটা তারাও লিজ দিতে পারে। রবিকে প্রস্তাবটা কি দেবে? লোভনীয় অ্যামাউন্ট হলে ক্ষতিটা কি?
নাকি, কোনো আইনি ফ্যাকড়া থাকে? একবার উৎপলার বাবার প্রসঙ্গ মনে এলেও, এ বিষয়ে রবিকেই বেশি ভরসা করে। উৎপলা খুটিয়ে দেখল, ফ্লাইওভার থেকে কিঞ্চিৎ তফাতে তার ফ্ল্যাটের ভিউটা চমৎকার । বাঁকটার সঙ্গে ঠিকঠিক যেন ৪৫ ডিগ্রি কোনে। যানবাহন এখানে ঘুরলে যাত্রীরা অনায়াস আরামসে, দৃষ্টির  রিলিফে বিজ্ঞাপনটায় চোখ বোলাবে ।ঘাড়টাকে বাঁকাতে চোরাতে হবে না। এই লোভের সম্ভাবনা টুকু মাথায় ছিল না, এখন গেঁথে গেল। যা যুগ পড়েছে, মানুষ নিজেকে আধুনিক ও বিপননকেন্দ্রিক করে তুলতে না পারলে, মার খেতে হয়। আর এই মন্ত্রটিকে রবিশেখরকে দিয়ে মাথায় ঢোকানো যাচ্ছে না । উৎপলার সংকট এখানে । স্বামীকে হেয় করা ও অপদার্থ ভেবে ওঠার অন্যতম কারণ স্মার্টনেসের অভাব।
ফের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আবশ্য উৎপলার খটকা বাঁধল। অজানা কোনো ঝড়ের মুখে সব কিছু যেন থমথমাচ্ছে। রাস্তার দুপাশেই ফুটের দোকানগুলোয় যার যার পরিবার, ছেলেপুলে নিয়ে– আস্ত সংসারটা লাটখাচ্ছে। যার যার গুমটি ও স্ট্রাকচারগুলো খোলা, মালপত্তর ঢেকে রেখেছে পলিথিন বিছিয়ে এমন কায়দায়, টুপটাপ বিককিরি বা তাড়া খেয়ে উঠতে পড়তে সহজ চটজলদি হয়। কেউ কেউ স্টোভ বা কয়লার উনুনে রান্না করছে, খোলা আকাশে থালায় ভাত মাখছে, খাওয়াচ্ছে। কোনো কোনো বাচ্চা সদস্য বমি করে দিচ্ছে থালার পাশেই । হাসছে, কাঁদছে, ভ্যাকরে কান্নার আয়োজন করতেই গলার দুধারের টনসিল ফুলে, হয়ে যাচ্ছে বাকবহিত। শুধুই নীরব বিকৃত মুখমণ্ডল। ব্যথা-বেদনা বা কান্না বিনা শব্দে শরীরের ভাষায় আটকে থাকলে মানুষকে স্বাভাবিক জীব মনে হয় না। উৎপলা চটপট সানগ্রাল পরে নিল। হন হন হেঁটে এই সব  দূশ্য সকল এরিয়ে চলে গেল পাকাপাকি দোকান ব্যবসার অঞ্চলটায়। এ দিকটায় শব্দ, ধুলো, কান্নার আওয়াজ কম। দোকানে দোকানে কৌতূহল ঝুলছে। সত্যিই বুলডোজার নাববে, নাকি অন্যন্য বারের মতো কোথাও ক্ষমতার সহাবস্থান হবে?
শখের পুর্র স্টেশনের ফ্লাইওভার  দিয়ে যে রাস্তাটা– চওড়া চার লেনের হবে। পাশাপাশি দ্বিতীয় প্লাইওভারটি  খাড়া না করতে পারলে চলবে না। শোনা যাচ্ছে, এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংঙ্ক এবং শিল্পোন্নত দুটি দেশ এই পরিকল্পনায় আর্থিক যোগদানের চুক্তি করেছে।
মার্কেট কমপ্লেক্স-এর ওষুধের হোলসেল দোকানদার সমু দত্ত আলোচনা চালাচ্ছিল। তারা এ সব উন্নয়নে খুশি। ফুট ব্যবসায়িদের সঙ্গে সমুদত্তের মতো ব্যবসায়িদের দ্বন্দ্ব বিরোধ আছে। ঐ-সব পাকা দোকানদার তো লাইসেন্স, ট্যাক্স, বিদ্যুৎখরচা, জি. এস.টি – হাজারো সরকারি ফ্যাকড়া মেনে তাদের ব্যবসা করতে হয়। তাছাড়া ফায়ার সেফটি কর্মচারি পোষা এবং নানা নির্বাচণে হরকিসিমের তোলাবাজি আছে।
ক্রমশ ফুটের দোকানগুলো বড় ব্যবসায়িদের খদ্দেরদের ঢোকার মুখ ক্রমশ চাপছে, পার্কিং স্পেস জবর দখল, বিকেলে সার সার ফুডের দোকান, ঢেলে জিনস-গেঞ্জি বিক্রির– দুর্গাপূজা বা চৈত্র সেল চললে তো কথা নেই। দুদিক থেকে চেপে, গাড়িঘোড়া জ্যাম। কমিশনারেট থেকে টহল চালিয়েও সুরাহা হচ্ছে না। বড় ব্যবসায়িদেরও দুটি সংস্থা– মহকুমা শাসক, কমিশনারেট, এমন কি ‘মাতব্বর’-এর সাহায্যে মন্ত্রীমহলে চাপ দিয়েও বিশেষ কিছু সুরাহা হচ্ছে না। সব কিছু উদ্যোগ শেষ হয়ে যায় একপ্রকার মানবাধিকারের দোহাইতে। করে কম্মে খাচ্ছে! চাকরি বাকরি কোথায়?
বড় দোকানদাররা পৌরসভায় বহুবার অভিযোগ করেছে, এরা কোনো বিক্রয়কর দেয় না, কোনো লাইসেন্স ছাড়াই কামাই করে চলেছে। হয় পৌরসভা এদের লাইসেন্স ইস্যু করে আয় বাড়াক, নয়তো বড় ব্যবসায়িদের মকুব করে দিক ।
চেয়ারম্যানরা ঠাণ্ডা ঘরে দাবি শোনেন, খাতির করে দামি লিকার চা খাওয়ান, শেষে অসহায় সারেন্ডার করে বলেন, অ-স-ম্ভব।
কেন ? ভুলু আইচ পুরু চশমার আড়াল থেকে হাসতে হাসতে বললেই চেয়ারম্যানরা বলেন, ওদের লাইসেন্স দিলে লিগ্যাল দাবি হয়ে যাবে। …গভমেন্ট রাজি হবে না।
আপনার তো আয় বাড়বে! …আপনার পরিষেবা নিচ্ছে, আপনি দর্শক হয়ে থাকবেন?
পৌরপ্রধান এদের মুখোমুখি ভদ্রতা দেখলেও, খুবই বিচক্ষণ মানুষ। ‘মাতব্বর-এর সঙ্গে একই ঝান্ডার আশ্রয়ে থাকলেও দুয়ের সম্পর্ক বিশেষ মধুর নয়। পরপর নির্বাচন জিতে, পৌর প্রধানকে চাপ দিয়ে আয় পঞ্চাশজন অস্থায়ী কর্মিকে পুশিয়েছে। পৌর প্রধান আপত্তি করেন ঠেকাতে পারেনি। আথচ সরকারের ঘর থেকে কোনো স্কিম বার করে আনতে বললে খালি ঘোরাবে। জুতোর শুকতলা খসাতে হয় পৌর প্রধানকে।
তিন তিন বার ফুট উচ্ছেদের বিপুল প্রশাসনিক আয়োজন অজ্ঞাত কারনে থেমে গেছল। দুটো ছিল রাজ্য সরকারের, একটা মিউনিসিপ্যালিটির উদ্যোগে
সরকারের রাস্তা আইচ স্যার। …আমি লাইসেন্স দিতে পারি? হাতকড়ি পড়বে আমার!
তুলে দিন তালে!
খোদ কলকাতাকে হকার মুক্ত করতে পারছে?
ভুলু আইচ হাল্কা চুমুক দিয়ে বলে, শুনলাম এবার জাতীয় রাস্তার মর্যাদা পাচ্ছে…আর শখেরপুরের স্টেশন রোড হয়ে থাকবে না।
পৌর প্রধান সায় দেন।
আমারও শুনছি! …এবার তালে সোনায় সোহাগা… দিল্লী ব্যাপারটা দেখবে!
ভুলু আইচ বলে, স্যার তিন তিনবার ফুটের ব্যবসা তোলা হয়েছিল। আপনারা তখন পাকাপাকি সুযোগ নেননি… ফাঁকা রেখেছেন…ফের এসে বসেছে।
কি করতাম?
কে. এম. ডি এ যেবার জল নিকাষির ব্যবস্থায় ড্রেন চওড়া করল…আপনারা ফাঁকা স্পেসে সামাজিক বিউটিফিকেশনের নামে টানা স্টেশন অবধি ফুল ফলের চাষ করাতেন… মিউনিসিপ্যালিটির ইনকাম হত!
দাদা! পৌরপ্রধান রহস্যে জবাব দিয়েছিলেন, পলিটিক্যাল কমপালশন! …আমাদের তো ভোটে জিতে আসতে হয় ! … আপনাদের তো সে জ্বালা নেই।
জ্বালা নেই আবার! …আপনাদের শুধু পলিটিক্যাল কমপালশন, আমাদের নানা ফ্রন্টকে হাতে রুখতে হয়…বাঘের পিঠে চড়ে বসেছি, কবেই নেমে যেতাম নইলে!
পৌর প্রধান রসিকতা করেন।
এখন তো দেশের মানুষ শখের পুরকে চেনে আপনার ‘শান্তি নিকেতন’ বিজ্ঞাপনের নামে। আমরা গর্ব বোধ করি স্যার!
দাদা, গর্ববোধের ঠ্যালাটা যে কী, বুঝবে না!  …হাহ্গর, তিমি একতলা…আমাদের গিলে খেতে চলেছে! …দেখুন না, বাজারে মল-প্যান্টালুন আছে! …হ্যাঁ হ্যাঁ, শখের পুরেই! পৌরপ্রধান সব খবর রাখে! চিন্তা  করেন, তোমাদের একটু দেয়া দরকার! তোমরাও তো বেনামে ফুটের দোকানে পুঁজি ঢালছ! … ফুট উচ্ছেদের বিরুদ্ধে গোপনে তোমরা  ছিলে না?
বিগত দিনগুলোয়, তিন তিন বার ফুট উচ্ছেদের বিপুল প্রশাসনিক আয়োজন অজ্ঞাত কারনে থেমে গেছল। দুটো ছিল রাজ্য সরকারের, একটা মিউনিসিপ্যালিটির উদ্যোগে। এই মনোরঞ্জন মণ্ডলই তখন পৌরপ্রধান । কীভাবে গোপনে বানচাল করেছে বড় ব্যবসায়িরা—মনোরঞ্জন বাবু জানেন। সমিতি পুরোপুরি ‘মাতব্বর’-এর পরে।
এবারও সব কটা সমিতির নেতা গা এড়িয়ে মৌখিক বিরোধিতার স্তরেই আটকে রেখেছে নিজেদের । যদি এক ঢিলে একাধিক পাখি মরে—ক্ষতি কি?
কিন্তু এবার যেন ব্যতিক্রম! যে যার ফুটের মালপত্র সরিয়ে নেবার চরমসীমা, আজই রাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
মনোরঞ্জন মন্ডল আজ নেই। চেয়ারে বসেই মৃত্যুর  মুখে ঢলে পড়েছিল।  অনেকে বলে, ‘মাতব্বর’ তাঁকে সমিতির মাতব্বরদের পরামর্শে এমন কেলেঙ্কারির প্যাঁচে ফেলে দিয়েছিল, দুঃশ্চিন্তাতেই হঠাৎ স্ট্রোক। শখেরপুরের  কমিউনিটি হলে অবশ্য বিরাট ব্যবস্থার স্মরণ সভার আয়োজনে ছিল বড় দোকানদের সমিটিগুলো। এলাহি ব্যাপার ।
যদুনাথ অবশ্য এ-সব ছলাকলার বিশ্বাস করেনা। নইলে তিলে তিলে এখানে ব্যবসার পত্তনের দিনগুলোয় কম নিবেদন করেছিল নিজেকে? আজও নীলোৎপলা ফার্নিচার বড় সমিতির একজন, কিন্তু সে নিজেকে আলগা করে ফেলেছে। তবু, বুকের মধ্যে বিশ্বাস আছে, জনগণের ভালোবাসা । কর পক্ষে, ভুলু আইচ-খোকা সাহা, নাকি আত্ম ভোলা, মা তারার সন্তানটির দিকে!
ক্রমশ…

চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক । বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই, কেউ যদি মিল খুঁজে পান তাহলে তা অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয় ।



❤ Support Us
error: Content is protected !!