- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মে ১৬, ২০২৪
দাঙ্গাবিধ্বস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ নিউ ক্যালিডোনিয়ায় জারি জরুরি অবস্থা

ফ্রান্সের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ নিউ ক্যালিডোনিয়ায় জারি হল জরুরি অবস্থা। নতুন নির্বাচনী আইনের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভের ফলে সেখানে মারাত্মক অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । বুধবার প্যারিসের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়।
সরকার কর্তৃক জারি করা এই জরুরি আইন মতে ওই জায়গায় যেকোনো জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং ফ্রান্স শাসিত অঞ্চলগুলিতে অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে কয়েক শত মাইল দূরে অবস্থিত একটি ফরাসি শাসনাধীন অঞ্চল ক্যালিডোনিয়া। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা ‘কানাক’ নামে পরিচিত। ফ্রান্স ১৮৫৩ সালে এই দ্বীপটি দখল করে এবং ১৯৪৬ সালে একে ঔপনিবেশিক তকমা প্রদান করে । অঞ্চলটির বাসিন্দাদের ভোটাভুটির নিয়ম পরিবর্তন নিয়ে মঙ্গলবার ১৪ মে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়, যেখানে বলা হয়, যেসব ফরাসি নাগরিক নিউ ক্যালিডোনিয়াতে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন, তারাও আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি হয় সান্ধ্য আইন। এরপরও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশমিত করা যায়নি।পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ আদিবাসী তরুণ ও পুলিশের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর জন্য ফরাসি সরকারের তরফে তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী ।বুধবার ফরাসি হাইকমিশন জানিয়েছে যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেল ভাঙা থেকে শুরু করে অনেক বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতারাতি কারফিউ জারি করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষও । রাজধানী সমস্ত রকম নউমিয়ায় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিউ ক্যালেডোনিয়ার ‘লা টোনটাউটা’ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন, “সপ্তাহের শুরু থেকে, নিউ ক্যালেডোনিয়া তীব্র অশান্তির পরিবেশ বর্তমান ”, জরুরি অবস্থার সপক্ষে তিনি বলেছেন, “এই জরুরি অবস্থা আমাদের রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলাকে আবার ফিরিয়ে আনতে ও বজায় রাখতে সাহায্য করবে।”
❤ Support Us