Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • জানুয়ারি ৯, ২০২৪

‌চিরঘুমের দেশে জার্মানির কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‌চিরঘুমের দেশে জার্মানির কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

কদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ মারিও জাগালো। দুদিন যেতে না যেতেই আরও এক ইন্দ্রপতন। এবার চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মারিও জাগালোর মতো ফুটবলার ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার নজির রয়েছে বেকেনবাওয়ারের।
১৯৫৪ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সেই এসসি মিউনিখের হয়ে খেলা শুরু করেন বেকেনবাওয়ার। ১৯৫৯ সালে বায়ার্ন মিউনিখের যুবদলে যোগ দেন। এর ঠিক ৫ বছর পর বায়ার্ন মিউনিখের সিনিয়র দলের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ঘটে বেকেনবাওয়ারের। পেশাদার ফুটবল জীবনে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে শুরু করলেও নেমে যান মিডফিল্ডারে। পরে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতে শুরু করেন।
জার্মানির দ্বিতীয় ডিভিশনে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে মিউনিখকে বুন্দেশলিগায় তুলে নিয়ে এসেছিলেন বেকেনবাওয়ার। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৬৮–৬৯ মরশুমে প্রথমবার বুন্দেশলিগা খেতাব জেতে বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬ সালে পরপর চ্যাম্পিয়ন হয়ে হ্যাটট্রিক করে বায়ার্ন।
১৯৬৫ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সেই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের। ১৯৭১ সালে তাঁর হাতে দেশের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়। পরের বছরেই তিনি দেশকে ইউরো কাপে চ্যাম্পিয়ন করেন। ১৯৭৪ সালে হল্যান্ডকে হারিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন বেকেনবাওয়ার। দু’‌বছর পর দলকে ইউরো কাপের ফাইনালে তুললেও খেতাব এনে দিতে পারেননি।
১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে তিনি নিউইয়র্ক কসমসে যোগ দেন। এরপর দেশে ফিরে এসে হামবুর্গের জার্সি গায়ে তুলে নেন। খেলা ছাড়ার পর তিনি কোচিংয়ে আসেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জার্মানির কোচের দায়িত্ব পান। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে দেশকে ফাইনালে তুললেও আর্জেন্টিনার কাছে হারতে হয়েছিল। চার বছর পর ১৯৯০ সালে সেই আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। মারিও জাগালোর পর তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
মাঠে সুনিপুণ দক্ষতা ও নেতৃত্বদানের জন্য দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন বেকেনবাওয়ার। দেশের হয়ে ১১৩ ম্যাচে ১৪টি গোল করেন। ১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে তিনি বালঁ দ্যর পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৬৬, ১৯৭০ ও ১৯৭৪ ফিফা বিশ্বকাপ অলস্টার দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তিনি ৫৮২টি ম্যাচ খেলেছিলেন। গোল করেছন ৭৪টি। তাঁর সময়েই বায়ার্ন মিউনিখ ৫ বার বুন্দেশলিগা খেতাব জিতেছিল। এছাড়া জার্মান কাপ জিতেছিল ৪ বার। বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়া মার্সেইকে তিনি কোচিং করিয়েছিলেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!