- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
“সংবিধানের অসম্মান করা হচ্ছে”, পত্র–রহস্যের মধ্যেই মন্তব্য ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের

কোনও ভাবেই নবান্ন–রাজভবন সংঘাত থামছে না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের চিঠি রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। রাজভবন-রাজ্য সবাই চুপচাপ, এমন কি সি ভি আনন্দ বোস, ব্রাত্য বসু দুজনেই চুপ। রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে যখন গুঞ্জন চলছে, মনে করা হচ্ছে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে কড়া নালিশ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের কাছে নালিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে একাধিক বিলে স্বাক্ষর না করার জেরে দূরত্ব বেড়েছে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে। এর ফলেই সংঘাতের শুরু। এবার তার মধ্যেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাতে সংঘাতের মাত্রা বাড়ল রাজ্য–রাজনীতিতে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আক্রমণে সামনে এসেছে ‘রক্তচোষা রাক্ষসের’ মতো শব্দবন্ধ। যা রাজ্যপালের সম্ভ্রমে লেগেছে। এটা ভাল চোখে দেখেননি রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথাও লেখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধরনায় বসা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনুদান বন্ধের মন্তব্যে সাহায্য চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। সুতরাং কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার পরামর্শও রাজ্যপাল দিয়েছেন।
রবিবার যখন রাজ্যপালের জোড়া চিঠি নিয়ে গুঞ্জন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তখন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ওই সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, “মন্ত্রীদের বোঝা উচিত যে এরকম আক্রমণে ভারতের সংবিধানের অসম্মান হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের এসবের জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা যখন সাংবিধানিক প্রধান সম্পর্কে অসংসদীয় মন্তব্য করেন, তখন তাঁরা মন্ত্রী পরিষদে তাঁদের দলের নেতাকেও অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।’ সুতরাং রাজ্যপালের রাগ যে এতটুকু কমেনি সেটা এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার। তাছাড়া ব্রাত্য বসুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই যে রাজ্যপালের এই অসন্তোষ সেটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বনাম রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বৈরথ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে না এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে এই নিয়ে টেলিফোনে কথাও হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর। সেসব যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ দমবন্ধ পরিস্থিতিই থাকবে চিঠির বিষয়টি। এদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল বিল, ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন বিল থেকে শুরু করে আলিয়া ইউনিভার্সিটি বিল, অ্যানিমেল ও ফিশারিজের বিল আটকে রয়েছে রাজ্যপালের কাছে। তার মধ্যে ধূপগুড়িতে জেতা বিধায়কের শপথ কবে হবে? সেটাও ঝুলে রইল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন তাঁর বিদেশ যাত্রার আগে এই শপথ বাক্য পথ এবং মন্ত্রিসভার রদবদল সংক্রান্ত কাজ সেরে ফেলতে কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে গিয়েছে তাতে এসব সম্ভব নয় বলেই মনে করছে প্রশাসনের একটা অংশ ।
❤ Support Us