Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩

মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান বন্ধ করার হুমকির পর ফের মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন সি ভি আনন্দ বোস

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান বন্ধ করার হুমকির পর ফের মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন সি ভি আনন্দ বোস

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সাথে চলমান মুখোমুখি সংঘর্ষকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মঙ্গলবার মধ্যরাতের পরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিযুক্ত করেছেন প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাজ্যের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চললে তাদের মেইন বন্ধ করে দেবে টার্জি সরকার। এই কাজকে মুখ্যমন্ত্রী “টিট ফর ট্যাট” বলে মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই হুমকি দেওয়ার দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে গভীর রাতে রাজ্যপাল ফের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এর ফলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘর্ষ যে আরও বেড়ে গেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পনেরো মিনিট পর কলকাতার রাজভবন থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে রাজ্যপাল, যিনি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর,তিনি  অধ্যাপক কাজল দে-কে নদীয়া জেলার কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত করেছেন।

এর আগের দিন,অর্থাৎ শিক্ষক দিবস উদযাপনের দিন একটি সরকারি কর্মসূচিতে ভাষণ দেওয়ার সময়,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন: “যদি আপনি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন বা কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ আপনার আদেশ গ্রহণ করে, আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। টিট-ফর -ট্যাট , নো কম্প্রোমাইজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফদের বেতন আপনি কিভাবে দেন দেখব। আমরা কখনই শিক্ষা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করি না।”

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য-নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চালানো নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল তামিলনাড়ু, কেরালা এবং বিহারের মতো অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে একই ধরনের সংঘাতের একটি বৃহত্তর প্রবণতার অংশ।

তবে রাজ্য সরকারগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচালানোর ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সক্রিয় ভূমিকা পালনের বিরোধিতা করে এবং বলে যে রাজ্যপাল কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নামমাত্র প্রধান। রাজ্য সরকারই এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকের জায়গায় আছে।

এদিকে রাজভবন উপাচার্য নিয়োগের একটি নির্দেশিকা জারি করার তিন দিন পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বিবৃতি দিয়ে বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সরাসরি আদেশ নেওয়া বা উপাচার্যের জ্ঞান এবং সম্মতি ছাড়া কোনও নির্দেশ কার্যকর করার বাধ্যবাধকতা নেই।

প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কার্যকারিতা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজভবনের মধ্যে বিতর্কের একটি নতুন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

সি ভি আনন্দ বোস, যিনি রাজ্য-চালিত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, সম্প্রতি ১৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়েগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তৃণমূল সরকারের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন অথচ এই পদগুলি দীর্ঘদিন শূন্য ছিল।

প্রসঙ্গত কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামকরণ ও প্রতিষ্ঠা করেন। কলকাতা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নদীয়া জেলার প্রধান শহর কৃষ্ণনগরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!