- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৬, ২০২৩
এগরা বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্তর

আচমকা বোমা ফাটার শব্দে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। সাধারণ বাসিন্দারা আতঙ্কিত । রাস্তায় ছিন্নভিন্ন মৃতদেহের ছড়াছড়ি। চরম বিভীষিকাময় এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৪ । গুরুতর অবস্থায় তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মূলত একটি অবৈধ বাজি কারখানা থেকে এ বিপত্তি ঘটেছে বলে জানা গেছে। তারপর সেখান থেকে আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পরে। তবে থানা যাই বলুক, গোটা ঘটনায় গ্রামের পরিস্থিতি এখন বেশ থমথমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ আচমকা এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে খাদিকুল। চারিদিকে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। বহু বাড়িতে আগুন ধরে যায়।ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সমগ্র এলাকা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় দমকল। গোটা ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা বেআইনি বাজি কারখানার দিকে আঙ্গুল তুলছেন। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন থানার সামনে । তাঁদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।যদিও পুলিশের দাবি, তাঁরা আগেও বাজি কারখানা বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন। জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, ওড়িশা সীমানা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটা বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে কারখান বন্ধের চেষ্টা হলেও তা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। পুলিশি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে এতদিন কারখানা চালানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার পিছনে অন্য কারোর হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এগরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথারীতি রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দল। স্থানীয় বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেছেন, ওখানে বাজি কারখানা ছিল বলে খবর পেয়েছি। পুলিশ আগেই তল্লাশি করে বন্ধ করেছিল। তার পরেও গোপনে কারখানা চলছিল। কত জন মারা গিয়েছেন তা এখন বলা সম্ভব নয়। প্রশাসনকে তার নির্দেশ কড়া হাতে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষায় আরো কঠোর হতে হবে। কীভাবে বিস্ফোরনের এ ঘটনা ঘটল তা নিয়ে আরো বিস্তারিতভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলের দাবি নাকচ করে দিয়েছে। তার মতে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করালে প্রকৃত সত্যি সামনে আসবে।
❤ Support Us