Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

আয়কর-ফাঁকির অভিযোগ। বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়ি, কারখানা, স্কুল, কলেজে আয়কর হানা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আয়কর-ফাঁকির অভিযোগ। বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়ি, কারখানা, স্কুল, কলেজে আয়কর হানা

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির “দলবদলু বিধায়ক” বায়রন বিশ্বাসের সম্পত্তিতে এবার নজর পড়ল আয়কর দফতরের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই বিধায়কের সামশেরগঞ্জের বাড়িতে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। বায়রনের বিরুদ্ধে আয়কর-ফাঁকির অভিযোগে বীরভূমেও চলছে তল্লাশি। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতার তিন মাসের মধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে  তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস। এবার এই “দলবদলু বিধায়ক”-এর বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সী।

শুধু মুর্শিদাবাদেই নয়, বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বায়রনের সম্পত্তিতে চলছে আয়কর তল্লাশি। মূলত বায়রন বিশ্বাসের ব্যবসা আয়কর দফতরের নজরে রয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, বায়রন বিশ্বাসের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। তার টাকা বিভিন্ন সেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘোরানো হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর আয়কর দফতরের আধিকারিকরা প্রাথমিক একটা তদন্ত করেন। সেই তদন্ত করার পর আজ ৫০-৬০ জন আধিকারিক বায়রন বিশ্বাসের বাড়ি, তাঁর একাধিক অফিসে পৌঁছে যান। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা মনে করছেন কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণে আয় হয়েছে সেটা দেখানো হয়নি। এছাড়া কোনও সেল কোম্পানি খুলে সেই টাকা ঘোরানো হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে চাইছেন আয়কর আধিকারিকরা। আয়কর তল্লাশি চলছে বায়রনের আয়রন হাব, কেমিক্যাল হাব, কারখানা, স্কুল, কলেজ সহ সব সম্পত্তিতে।

সাগরদিঘীর উপনির্বাচনে বামদের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। জয়ী হয়েই তিনি সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন তিনি তৃণমূলে যাবেন না। আবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন তিনি কংগ্রেস, তৃণমূল সব দলের। তাঁর এই হেঁয়ালি নিয়ে সেই সময় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কেউ কেউ মনে করছিলেন বায়রনের দলবদল সময়ের অপেক্ষা। জয়ের স্বাদ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই বিশ্বাস দলের প্রতি বিশ্বাস ভঙ্গ করেন বায়রন বিশ্বাস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে যোগ দেন তৃণমূলে। এই দলবদলের নেপথ্যে কী কারণ ? তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সপ্তাহ ২ পরে সাগরদিঘির বিধায়ক বুঝিয়ে দেন, প্রশাসনিক সুবিধে পেতেই তাঁর এই দলবদল ! প্রশাসনিক সাপোর্ট না পেলে মানুষের কাজ করবেন কী করে, এই ছিল তাঁর দলবদলের যুক্তি ! তৃণমূল নেতা ও সাগরদিঘির বিধায়ক বলেছিলেন, “কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। শাসকদলে থাকলে সবদিক থেকে ভাল হয়। প্রশাসনিক সাপোর্ট ভাল পাওয়া যায়।”

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। আর জয়ের ৩ মাসের মধ্যেই দলবদল করেন। বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার ২০ দিন পর, শপথগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলকে হারিয়ে ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এদিকে তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বায়রন। দল বদলের পর বায়রন বলেছিলেন, “কংগ্রেসে কাজ করতে পারছিলাম না, আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম।” এখন দেখার বায়রনের পাশে তাঁর দোল তৃণমূল থাকে কি না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!