- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
‘কনকাশন সাব’ নিয়ে তুমুল বিতর্কের আবহেই ৩–১ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ জিতে নিল ভারত

দ্বিতীয় ওভারেই টপ অর্ডারের সেরা তিন ব্যাটার ডাগ আউটে। প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শিবম দুবে ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার হাত ধরে বড় রান। পরে সেই স্পিনারদের দাপট। চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩–১ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ জিতে নিল ভারত। স্পিন আতঙ্কেই আবার জেরবার ইংল্যান্ড। ‘কনকাশন সাব’ নিয়ে তুমুল বিতর্ক।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারেই ওঠে ১২ রান। পরের ওভারেই ভারতকে চরম ধাক্কা দেন সিরিজে প্রথম খেলতে নামা সাকিব মাহমুদ। প্রথম বলে ফেরান সঞ্জু স্যামসনকে (১)। পরের বলে তুলে নেন তিলক ভার্মাকে (০)। ওভারের শেষ বলে ফেরান ফর্মে না থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে (০)। ২ ওভারের মধ্যে ১২ রানে প্রথম সারির তিন ব্যাচকে হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। অন্যপ্রান্তে অভিষেক শর্মা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন রিঙ্কু সিং। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় আউট হন অভিষেক শর্মা। ১৯ বলে তিনি করেন ২৯। ২৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন রিঙ্কু।
৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত। এই সময় মনে হচ্ছিল ভারত হয়তো দেড়শ রানের গন্ডিও পার করতে পারবে না। কিন্তু শিবম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়ার জুটি ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ওঠে ৮৭ রান। এই জুটি ভারতের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। ৩৪ বলে ৫৩ রান করে আউট হন শিবম দুবে। মারেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। অন্যদিকে ৩০ বলে ৫৩ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮১ রান তোলে ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে সাকিব মাহমুদ ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ৫.৫ ওভারে ওঠে ৬২। আগের ৩ ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট নিজেদের কিছুটা মেলে ধরেন। ১৯ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন বেন ডাকেট। ২১ বলে ২৩ রান করেন সল্ট। বাটলার অবশ্য এই ম্যাচে ব্যর্থ। মাত্র ২ রান করে তিনি আউট হন। লিয়াম লিভিংস্টোন (৯), বেথেল (৬), কার্সেরাও (০) দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নামান শিবম দুবের পরিবর্তে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে মাঠে নামা হর্ষিত রানা। তিনি ফেরান লিভিংস্টোন, বেথেল ও জেমি ওভারটনকে (১৯)। ইংল্যান্ডকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন হ্যারি ব্রুক। ২৬ বলে ৫১ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে তিনি আউট হন। ব্রুক আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইংল্যান্ডের জয়ের আশা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হর্ষিত রানার। বরুণ চক্রবর্তী ২৮ রানে নেন ২ উইকেট।
এদিন একটা বিতর্কেরও সাক্ষী হয়ে থাকল পুনে। ব্যাট করার সময় শিবম দুবের হেলমেটে বল লেগেছিল। পরে তিনি আর ফিল্ডিং করতে নামেননি। তাঁর পরিবর্তে টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় হর্ষিত রানার। মিডল অর্ডারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। একজন অলরাউন্ডারের পরিবর্তে কীভাবে একজন জোরে বোলারকে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে খেলতে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আইসিসি–র ১.২.৭.৩ ধারায় বলা রয়েছে পরিবর্ত হিসেবে একই ধরনের ক্রিকেটারকে নামানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে যাতে বিপক্ষ দল অতিরিক্ত সুবিধা না পায়। সে ক্ষেত্রে অলরাউন্ডার শিবম দুবের পরিবর্তে হর্ষিত রানাকে নামানো অযৌক্তিক।
❤ Support Us