Advertisement
  • এই মুহূর্তে ন | গ | র | কা | হ | ন
  • নভেম্বর ১৮, ২০২৩

মিজোরামে শরনার্থীদের পাশে রাজ্য সরকার, এনজিও

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মিজোরামে শরনার্থীদের পাশে রাজ্য সরকার, এনজিও

ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মিজোরামের চামকাই জেলার জোথাওধার এলাকার ছয়টি শরনার্থী শিবিরে এখন আশ্রয় নিচ্ছেন ৫ হাজার মায়ানমারের শরনার্থী, যাদের মধ্যে অনেক নারী, শিশু রয়েছে।

মায়ানমারের উদ্বাস্তুদের সহায়তার পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও প্রশাসন শরনার্থীদের বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষভাবে খোঁজ-খবর নিচ্ছে।

মায়ানমারের চিন চিন রাজ্যের বাসিন্দা খিয়ানুনপার, যিনি এখন ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের চামফাই জেলার জেলার জোখাওথার এলাকায় একটি শরনার্থী শিবিরে তার পরিবারের সাথে বসবাস করছেন, তিনি একজন ৯ মাসের গর্ভবতী মহিলা এবং এই শরনার্থী শিবিরে আরও ৮ জন গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন।
খিয়ানুনপার ৩ ও ৪ বছর বয়সী দুটি সন্তানের মা।  মায়ানমারের অভ্যুত্থানের পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে চম্পাই জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন।
মায়ানমারের উদ্বাস্তুদের খাদ্য ও বস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি মিজোরাম সরকার এবং জেলা প্রশাসন শরনার্থী শিবিরে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোও দোখভাল করছে।
জোখাওথার এলাকায় অবস্থিত বেথেল শরনার্থী শিবিরের শরনার্থীদের মতে, চিকিৎসক ও নার্সরা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়েছেন।
২৫ বছরের খিয়ানুনপার জানিয়েছেন, তিনি এবং শিবিরের অন্য শরনার্থীরা মিজোরাম সরকারের কাছ থেকে সমস্ত রকমের সহায়তা ও সমর্থন পাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি এখন ৯ মাসের গর্ভবতী। আমার ৩ ও ৪ বছরের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। র আগে আমি আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্থানীয় একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। প্রশাসন আমাদের ওষুধ দিয়েছে। নিয়মিত ডাক্তার ও নার্সরা আমাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতে আসছেন। আমরা রেশন ও খাবার পাচ্ছি। মিজোরাম সরকারের সহায়তায় আমরা খুশি।”

অন্যদিকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জোখাওথারে আসা বেথেল শরনার্থী শিবিরের মায়ানমারের শরনার্থী ভ্যানলালরুতা বলেছেন, “এই শিবিরে ৮ জন গর্ভবতী আছেন। এখনও পর্যন্ত ২০২১ সালের পর থেকে এই শিবিরে ১৭ জন সন্তান প্রসব করেছেন। আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এই শরনার্থী শিবিরে এসেছি। এখনও শিবিরেই বসবাস করছি। মিজোরাম সরকার এবং এনজিওগুলি আমাদের ওষুধ, পোশাক,খাবার সহ যা প্রয়োজন তা দিয়ে আমাদের সুবিধার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। মিজোরাম সরকারের কাছে এই জন্য আমরা কৃতজ্ঞত।”
চামফাই জেলা প্রশাসনের মতে, জেলায় ৩২ টির মতো শরনার্থী শিবির তৈরি করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু মায়ানমারের শরনার্থী দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য কয়েকটি শিবির এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!