Advertisement
  • এই মুহূর্তে
  • মে ১৮, ২০২২

প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ করল ভারতের নৌসেনা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ করল ভারতের নৌসেনা

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। বুধবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ করল নৌসেনা এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ।প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এদিন ওড়িশার বালাসোরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে এই মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। নৌসেনার একটি সি-কিং ৪২বি হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। নৌসেনা ও ডিআরডিও-র যৌথ উদ্যোগে এই পরীক্ষা চালানো হয়। প্রতিরক্ষায় বিশেষ করে মিসাইল প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের উৎক্ষেপণ বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

বিশ্লেষকদের মতে, চিনকে নজরে রেখে নৌবাহিনীকে অত্যাধুনিক মিসাইল ও রণতরীতে সাজিয়ে তুলছে ভারত। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মাজগাওঁ ডক থেকে আইএনএস সুরাট ও আইএনএস উদয়গিরি নামের দু’টি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর আজই জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ করে কার্যত চিনা নৌবহরকেই বার্তা দিল নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আবার অত্যাধুনিক ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় নৌসেনা ও বিমানবাহিনী।

লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকেই মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে গতবছর ভারত মহাসাগরে সুমাত্রার পশ্চিমে নজরদারি চলতে দেখা যায় ‘শিয়াং ইয়াং হং ০৩’ নামের একটি চিনা জাহাজকে উপগ্রহ ছবিতেও ওই চিনা রণতরীর হদিশ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, চিনা নৌসেনার গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, ভারতীয় জলসীমায় কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া হবে না।


❤ Support Us
error: Content is protected !!