গাজায় স্থল আক্রমণ থামাতে বলে ইসরাইলকে সতর্ক করল ইরান

ইসরায়েল যখন  সম্ভাব্য জায়গা গাজা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন ইরান ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একটি কঠোর সতর্কতা জারি করল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলের প্রতি অটল সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গও এই সতর্ক বার্তায় উল্লেখ করেছেন। এদিকে গাজায় ফিলিস্তানি সন্ত্রাসীদের বিধ্বংসী হামলায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই যে জটিল হয়ে উঠছে সেটা বিভিন্ন দেশে পারস্পরিক কারকর্ম ও বার্তা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, “যদি ইহুদিপন্থীরা আগ্রাসন বন্ধ না হয়, তাহলে এই অঞ্চলের সব পক্ষের হাতই এবার ট্রিগারে থাকবে।”

গাজায় ধারাবাহিক ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৭০০-র বেশি শিশু সহ ২ হাজার ৬৭০ জনেরও বেশি মানুষ  প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় ছিটমহলের সমস্ত জল, বিদ্যুৎ এবং খাবার বন্ধ করে দিয়েছে, তবে গতকাল দক্ষিণ অঞ্চলে জল সরবারহ আবার শুরু হরেছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এক বিবৃতিতে আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, “পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এবং সংঘাতকে আরও না বাড়িয়ে তোলার  নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। যারা যুদ্ধ ও সংকটের পরিধিকে সম্প্রসারণ না করে রোধ করতে আগ্রহী, তাদের গাজার নাগরিকদের  বিরুদ্ধে  বর্বরোচিত হামলা বন্ধ করতে হবে।”

এরই মধ্যে ইসরায়েলের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ওয়াশিংটনে এই যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।   তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের পাশে ইরান দাঁড়িয়ে গেলে এই যুদ্ধে ইরানের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, যা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও প্রলম্বিত করার সম্ভাবনাকেই উস্কে দিচ্ছে।
ইসরায়েল লেবাননের সংলগ্ন তার উত্তর সীমান্তে সৈন্য এবং ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে, এখানে জাতিসংঘের টহলদারি চলছে। ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সাথে সীমান্তে মারাত্মক গুলি চালানোর পরে সাধারণ মানুষদের জন্য চার কিলোমিটার বা আড়াই মাইল প্রশস্ত এলাকাও বন্ধ করে দিয়েছে।