Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • এপ্রিল ১২, ২০২৫

দ্বিমুকুট জয়, বেঙ্গালুরুকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে আইএলএলে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দ্বিমুকুট জয়, বেঙ্গালুরুকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে আইএলএলে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান

গতবছর ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি–র কাছে ফাইনালে হেরে দ্বিমুকুট জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে। এক বছরের মধ্যেই স্বপ্নপূরণ। আগেই লিগ–শিল্ড ঘরে তুলেছে সবুজমেরুন শিবির। শনিবার ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি–কে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১–১। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেন জেমি ম্যাকলারেন।

৯ মিনিটে বেঙ্গালুরুকে গোল খাওয়ার হাত থেকে বাঁচান গুরপ্রীত সিং। জেমি ম্যাকলারেনের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান বেঙ্গালুরু গোলকিপার। সামনে ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তিনিও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। ১৮ মিনিটে ডানদিক থেকে উঠে গিয়ে দুর্দান্ত পাস বাড়িয়েছিলেন মনবীর সিং। ৬ গজ বক্সের ভেতর থেকে পা ছোঁয়াতে পারেননি জেমি ম্যাকলারেন। পা ছোঁয়ালেই নিশ্চিত গোল ছিল। পরের মিনিটেই গোল খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায় মোহনবাগান। কর্নার থেকে ভেসে আসা সেন্টারে হেড করেছিলেন সুনীল ছেত্রী। গোলে ঢোকার মুখে বুক দিয়ে বাঁচান শুভাশিস বসু।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। ডানদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করেছিলেন উইলিয়ামস। সেই বল ধরে শট নিয়েছিলেন নগুয়েরা। একহাতে কোনও রকমে বাঁচান বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ফিরতি বল ৬ গজ বক্সে থেকে গোলে ঠেলতে পারেননি সুনীল ছেত্রী। পরের মিনিটেই প্রতিআক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। কামিংসের সেন্টারে হেড করেছিলেন মনবীর। বল তিনকাঠিতে রাখতে পারেননি।

গোলের জন্য বেঙ্গালুরুকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। যদিও গোলটি বাগানেরই উপহার। ডানদিক থেকে রায়ান উইলিয়ামস সেন্টার করেছিলেন। আলবার্তো রডরিগেজ ব্লক করার চেষ্টা করেন। বল তাঁর পায়ে গেলে গোলে ঢুকে যায়। বিশাল কাইথের কিছু করার ছিল না। ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। শুভশিসের পাস ধরে বক্সের মধ্যে থেকে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন জেসন কামিংস। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত।

৭০ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। কামিংস বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন। বক্সের মধ্যে পেয়ে শট নিয়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বল সানা সিংয়ের হাতে লাগে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান কামিংস। তাঁর শট সঠিক অনুধাবন করেও বাঁচাতে পারেননি বেঙ্গালুরু গোলকিপার। সমতা ফেরানোর পর আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে দিশেহারা করে দেয় বেঙ্গালুরু রক্ষণকে। ৮১ মিনিটে কামিংসকে তুলে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে নামান বাগান কোচ হোসে মোলিনা। ৮৯ মিনিটে আশিক কুরুনিয়ানের গোলমুখী শট কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিং। নির্ধারিত সময়ে ফল থাকে গোলশূন্য। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ৬ মিনিটের মাথায় গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস সানার পায়ে লেগে যায় জেমি ম্যাকলারেনের কাছে। ডান পায়ের শটে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ম্যাকলারেন। সমতা ফেরানোর জন্য শেষদিকে মোহনবাগানকে চেপে ধরে বেঙ্গালুরু। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষপর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে জিতে দ্বিমুকুট ঘরে তুলল মোহনবাগান।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!