- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মার্চ ১, ২০২৪
জামশেদপুরকে উড়িয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান
জামশেদপুর এফসি–কে নিয়ে অহেতুক ভয় পেয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস। ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে জয় তুলে নিলেও শুক্রবার যুববারতীতে মোহনবাগানের কাছে হারতে হল খালিদ জামিলের দলকে। জামশেদপুর এফসি–কে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান। একই সঙ্গে শীর্ষে থাকা ওডিশা এফসি–র সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে ফেলল। ১৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওডিশা। ১ ম্যাচ কম খেলে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৩৩।
হাবাস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। এখনও অপরাজিত। তবে আরও একজনের কথা বলতে হবে। জনি কাউকো। নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। দলের ৪ গোলের মধ্যে তিনটি গোলের কারিগর ছিলেন তিনিই। তবে এদিন জামশেদপুর এফসি–র বিরুদ্ধে মোহনবাগানের জয়ের কারিগর মনবীর সিং। তাঁর পাস থেকেই এল তিনটি গোল। ম্যাচের ৭ মিনিটে নিজেদের অর্ধে বল ধরে ডানদিকে মনবীর সিংকে উদ্দেশ্য করে দুর্দান্ত বল বাড়িয়েছিলেন কাউকো। বল ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে মাইনাস রাখেন মনবীর। ডানপায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন পেত্রাতোস।
পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। ১১ মিনিটে প্রভাত লাকড়ার দুরন্ত সেন্টার চিমা চুকু প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। সে যাত্রায় কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান আনোয়ার আলি। ৩ মিনিট পর চিমা চুকুর আরও একটা প্রয়াস রুখে দেন শুভাশিস বোস। ৩৫ মিনিটে চিমা চুকুর শট বাঁচিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ২ মিনিট পর পেত্রাতোসের শট বাঁচিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি জামশেদপুর এফসি গোলকিপার রেহেনেশ। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তাচিকাওয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর। চিমা চুকু, স্যানন, মানজোরো, ইমরানরা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। কয়েকটা সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি জামশেদপুর স্ট্রাইকাররা। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। জেসন কামিংসের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন মনবীর সিং। বল পোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
অবশেষে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। এবারও গোলের কারিগর সেই মনবীর সিং। তাঁর পাস থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করেন জেসন কামিংস। ৮০ মিনিটে সেই মনবীরের পাস থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ৩–০ করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা আর্মান্দো সাদিকু। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত হয়ে যায় মোহনবাগানের।
❤ Support Us