- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- জুন ৮, ২০২৪
শিশু নির্যাতনের ‘কালো তালিকায়’ ইসরাইলি সেনা, জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

বিশ্বে শিশু নির্যাতনে অভিযুক্তদের তালিকায় ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত করলেন মহা সচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘে ইসরাইল রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান এই সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একটি কূটনৈতিক সুত্রের মতে,জাতিসংঘ পরবর্তীকালে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদকে এই তালিকায় রাখতে পারে ।
আগামী ১৪ জুন মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদে শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত নিয়ে যে রিপোর্ট জমা দেবেন, তাতে এ কথার উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে। তালিকায় ছয় ধরণের শিশু অধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ আছে,যথা – হত্যা, পঙ্গুত্ব, যৌন হিংসা, অপহরণ, শিশুশ্রমিক নিয়োগ, ত্রাণ সরবরাহে বাধাদান ,স্কুল ও হাসপাতালে হামলা। তবে এই সবকটির মধ্যে ইসরাইল বাহিনী, হামাস বা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ রয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তালিকাটি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি ‘যারা শিশু অধিকার রক্ষার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন,’ অন্যটি ‘যারা শিশু অধিকার রক্ষার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি’। সেখানে ইসরাইলকে রাখা হয়েছে দ্বিতীয় তালিকায়। যদিও ইসরাইল পররাষ্ট্রমন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে যে ভবিষ্যতে এতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে রীতিমতো প্রভাব পড়বে।
জাতিসংঘ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যের নিরিখে দাবি করেছে যে, আট মাস ধরে জারি থাকা যুদ্ধে কমপক্ষে ৭ হাজার ৭৯৭ শিশু নিহত হয়েছে। যদিও গাজার সরকারি সংবাদ মাধ্যমের মতে সংখ্যাটা অনেক বেশি, প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। অপরদিকে ইসরায়েলের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য চাইল্ড জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ৩৮ ইসরাইলি শিশু নিহত হয়েছে। অপহৃত ২৫০ জনের মধ্যে ৪২ জন শিশু।
রাষ্ট্রসংঘের ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এরদান সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মহাসচিবের এ সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও মর্মাহত। ইসরাইলের সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম নৈতিক সেনাবাহিনী। এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত কেবল সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করবে এবং হামাসকে তাদের কাজে উৎসাহ দেবে।’
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের কড়া সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, জাতিসংঘ হামাসের সমর্থনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকেই কালো তালিকাভুক্ত করেছে। গত বছর এই তালিকায় পুতিনের দেশ রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে শিশু হত্যা, তাদের পঙ্গু করা, স্কুল , হাসপাতালে হামলার পাশাপাশি তাদের মানব ঢাল রূপে ব্যবহার করার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল।
❤ Support Us