- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ২৫, ২০২৩
অর্থ চাই না, পুরষ্কারের টাকা দেওয়া হোক ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের। রাজপালকে জানাল কল্যাণীর লুমিনাস
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের “দুর্গারত্ন” পুরস্কারের ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করল কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব। রাজভবনের বিচারে তারা এবার যে চারটি ক্লাবকে “দুর্গারত্ন”‘পুরস্কার রাজভবন থেকে দেওয়া হয়েছে, সেই সফল পুজো উদ্যোক্তাদের তালিকায় লুমিনাস ক্লাব ছিল। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ে পুজোর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এই পুরস্কারের টাকা নিজেরা না নিয়ে তা ১০০ দিনের কাজের সঙৃগে যুক্ত শ্রমিকদের দিয়ে দিতে রাজ্যপালকে লুমিনাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিল।
প্রসঙ্গত যে দিন রাজ্যপাল লুমিনাস ক্লাবের পুজো মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, সে দিন তাঁর সামনে পুজো কমিটির প্রায় কেউ আসেনি। সেই থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। নদিয়ার কল্যাণী আইটিআই মোড়ের সেই লুমিনাস ক্লাবের পুজো কমিটি এ বার রাজভবনের পুরস্কারও প্রত্যাখ্যান করল।
লুমিনাস ক্লাবের পুজোটি কল্যাণী শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় ওরফে টিঙ্কুর পুজো বলেই পরিচিত। পুজো কমিটির সভাপতি কল্যাণীর উপ-পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক বলরাম মাঝি। এ ছাড়াও শাসক তৃণমূলের অনেকেই এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত।
একদিকে ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রেন না দেওয়া অন্যদিকে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের জেরেই এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান বলে মনে করা হচ্ছে।
নবান্নের তরফেও এ বছর মোট ১০৪টি পুজোকে বিশ্ববাংলার শারদ সম্মান দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকাতেও রয়েছে লুমিনাস ক্লাবের পুজোও। নদিয়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই পুরস্কার তুলে দিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে। রাজ্য সরকারের পুরস্কার গ্রহণ করলেও রাজভবনের পুরস্কার নিলেন না ক্লাব কর্তারা।
বিজেপির বক্তব্য, রাজভবনের পুরস্কার না নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ও সরকারি চাপ রয়েছে। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এত বড় পুজো রাজ্য সরকার বিরোধিতা করলে আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই হয়তো ক্লাবকর্তারা পুজোর স্বার্থে নতিস্বীকার করছেন। তৃণমূলের নেতারা ক্লাবের মধ্যে ঢুকে পুজো নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন। এর তীব্র নিন্দা করছি।’’
এই পুজো এ বার ৩১ বছরে পা দিয়েছে। চিনের বিলাসবহুল হোটেল ‘গ্র্যান্ড লিসবোয়া’র আদলে তৈরি হয়েছে তাদের মণ্ডপ। তা দেখতেই কাতারে কাতারে মানুষ কল্যাণীমুখী হয়েছেন পুজোর ক’দিন। সেই জনস্রোতে লাগাম টানতে প্রায় বেনজির ঘটনা ঘটাতে হয়েছে রেলকে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোনও ট্রেন দাঁড় করানো হয়নি কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে। সেই পুজোই আবার বিতর্কে জড়াল।
❤ Support Us