- এই মুহূর্তে ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- অক্টোবর ২৮, ২০২৪
মরণোত্তর ‘এমি’ পুরস্কারে সম্মানিত কলকাতার শ্রীয়াঙ্কা
মরণোত্তর ‘এমি’ পুরস্কার পেলেন প্রবাসী বাঙালি শ্রীয়াঙ্কা রায়। ‘হোমরুম ড্রিমস’ তথ্যচিত্রের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন কলকাতায় জন্মগ্রহনকারী এই মহিলা চিত্রপরিচালক। এই তথ্যচিত্রটি পরিচালনা এবং প্রযোজনা করার জন্য তাঁকে প্রথম স্বাধীন মরণোত্তর ‘এমি’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে।
মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন–ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্রীয়াঙ্কা রায়। গতবছর মে মাসে বলিভিয়াতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন এই চিত্রপরিচালক। সেখানেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ৩০ মে মারা যান। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লসে স্কুলজীবন শেষ করে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ভর্তি হন। সেখান থেকেই স্নাতক হন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্লিম স্টাডিজ নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পড়াশোনা শেষ করে ২০১২ সালে নিউইয়র্ক চলে যান। সেখানেই চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছিলেন। ২০১৪ সালে ডাউনটাউন ব্রুকলিনে একট শিল্প ও মিডিয়া ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন।
নিউইয়র্কে দরিদ্রদের জন্য আবাসন সমস্যাকে কেন্দ্র করে ‘হোমরুম ড্রিমস’ তৈরি করেছিলেন শ্রীয়াঙ্কা রায়। পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবে এটা ছিল তাঁর প্রথম ‘এমি’ জয়, আর ১৩তম মনোনয়ন। ‘শিক্ষা-স্কুল-শর্ট বা লং ফর্ম কন্টেন্ট’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছে শ্রীয়াঙ্কা রায়ের তথ্যচিত্র। একটি সমৃদ্ধ মহানগর হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে নিউইয়র্কে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষরা বাসস্থানের জন্য বিশাল সমস্যার মুখোমুখি হয়।
শ্রীয়াঙ্কার মা ঈশিতা রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা তার ১৩তম এমি মনোনয়ন, পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবে প্রথম স্বাধীন এবং প্রযোজক হিসাবে দ্বিতীয় জয়। আমাদের কাছে আনন্দের মুহূর্ত। তবে মেয়ের এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য সেখানে থাকা উচিত ছিল।’ শ্রীয়াঙ্কা রায়ের বাবা ডাঃ রাজা রায় বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। মেয়ে যে তথ্যচিত্র তৈরি করত, সেগুলো নিছক বিনোদন ছিল না, নিউইয়র্কে একটি গভীর সামাজিক বার্তা বহন করে। দারিদ্র্য, সহিংসতা এবং মাদকাসক্তির সাক্ষী হয়ে গভীর আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছিল।’
❤ Support Us