- প্রচ্ছদ রচনা স | হ | জ | পা | ঠ
- ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
দূষণহীন বিকল্প শক্তির সন্ধান।চারদশকের গবেষণায় সাফল্য বিজ্ঞানীদের
পরমানু সংযোজন করেই নতুন বিদ্যুত তৈরিতে সফল বিজ্ঞানীরা

দীর্ঘ চার দশকের প্রতীক্ষার অবসান। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক গবেষণায় রচিত হল নয়া ইতিহাস।
BREAKING NEWS: This is an announcement that has been decades in the making.
On December 5, 2022 a team from DOE’s @Livermore_Lab made history by achieving fusion ignition.
This breakthrough will change the future of clean power and America’s national defense forever. pic.twitter.com/hFHWbmCNQJ
— U.S. Department of Energy (@ENERGY) December 13, 2022
সূর্য সহ মহাকশের অন্যান্য নক্ষত্ররা যে ভাবে শক্তি উৎপাদন করে ঠিক সেভাবেই পৃথিবীতে এবার শক্তির উৎপাদন করা যাবে। লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, নিউক্লীয় সংযোজন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের পদ্ধতি তারা আবিষ্কার করে ফেলেছেন। দীর্ঘ গবেষণার পর তারা সক্ষম হয়েছেন দূষণহীন, তেজস্ক্রিয়তাহীন বিপুল শক্তির উৎপাদনে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এই প্রক্রিয়ায় সূর্যে যা শক্তি উৎপন্ন হচ্ছে তার থেকে বেশি শক্তি উৎপাদন করা যাবে।
নিউক্লীয় সংযোজন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন বিকল্প শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ আধার। ক্রুড অয়েল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস সহ বিভিন জীবাশ্ম জ্বালানির সমান্তরালে এই প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনে বায়ু দূষণ এবং বিশ্ব উষ্ণায়নকে অনেকাংশে কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা । পাশাপাশি নিউক্লীয় শক্তির উৎস অফুরন্ত যা সীমায়িত জীবাশ্ম জ্বালানির ভাণ্ডারের গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
লিভারমোর পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পরমাণু চুল্লীতে এখন যেভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয় তার নাম ফিশন। অর্থাৎ ভারী পরমানুকে ভেঙ্গে দু টুকরো করা। এই পদ্ধতিতে যে পারমাণবিক শক্তি তৈরী হয় তাতে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, কয়লা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদনেও বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরী হত বেশি। এইসব সমস্যার সমাধানেই বিকল্প পথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পণা।
নতুন প্রযুক্তিতে পরমাণুর সঙ্গে পরমাণু জুড়ে প্রচুর শক্তি উৎপাদন করা যাবে। ফিশন পদ্ধতিতে পরমাণুর বিয়োজনের প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর তেজস্ক্রিয়তা উৎপন্ন হওয়ার ভয় থাকত। নতুন এই পদ্ধতিতে সেই ভয় নেই। তবে এখনই বাণিজ্যক কাজে এই পদ্ধতিতে উৎপন্ন শক্তির ব্যবহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন ক্যালিফোর্ণিয়ার গবেষকরা।
❤ Support Us