শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
আমেরিকার নেব্রাস্কার উত্তর দিকে মনোওয়াই শহর। গ্রামের মতো আয়তন । খাতায় কলমে এটি মিউনিসিপ্যালিটি শহর। শহরের যাবতীয় সুযোগ সুবিধাও রয়েছে । লাইব্রেরি, রেস্তোরাঁ, বার সবই আছে। লাইব্রেরি, হাজার পাঁচেক বই ও ম্যাগাজিনের অধিকাংশই দুষ্প্রাপ্য। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কার খবরের কাগজের সংগ্রহ মিলবে । রয়েছেন মেয়র এলসি এলার। বয়স পঁচাশি । পুর-পরিষেবা থেকে রাস্তাঘাটের দেখভাল সবই তাঁকে সামলাতে হয়। তিনি শহরের নিরাপত্তারক্ষী, তিনিই শহরের একমাত্র বাসিন্দা। নিয়মিত ট্যাক্স দেন, আবার ট্যাক্স কালেক্টরের কাজও করেন।
চেকোস্লোভাকিয়া থেকে দেশান্তরী হয়ে যাঁরা এসেছিলেন এককালে তাঁরা এই শহরটি গড়েছিলেন। এলসি এলারের বয়স তখন ১৯ । স্বামী রুডির সঙ্গে এখানে এসে সংসার পাতেন। ১৯৩০ সালে শহরের জনসংখ্যা ছিল ১৫০। তারপর মৃত্যু আর শহর ত্যাগের কারণে জনসংখ্যা কমতে থাকে। রুডি আর এলসির দুজন সন্তান ছিল, তাঁরা চাকরির খোঁজে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে । ২০০৪ সালে রুডির মৃত্যুর পর থেকে এলসি সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ। সহ্গী তাঁর লাইব্রেরি, প্রকৃতি, রাস্তাঘাট আর একটি মাত্র পানশালা ।
শহরজুড়ে বনফুল ছড়িয়ে আছে তাএ এর নাম মনোওয়াই । গ্রামটির পরিকল্পনা হয় ১৯০২ সালে। তখনই ফ্রিমনট, এলখরন এবং মিসউরি রেল লাইন এই শহর পর্যন্ত প্রসারিত হয়। একই সময় স্থাপিত হয় ডাকঘর যা, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এটি কার্যকর ছিল। এরকম নিঃসঙ্গ জনশূন্য শহর পূথিবীতে বিরল। এটা বিশ্বের আরেক বিস্ময়।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34