- প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ৯, ২০২২
২৯ দেশে আক্রান্ত ১০০০ ছাড়াল, মাঙ্কিপক্স-এর গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু : হু

করোনা নির্মূল হয় নি। তারমধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাঙ্কিপক্স । এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের ২৯টি দেশে ১০০০জনেরও বেশি মানুষের শরীরে এই জীবাণুর হদিশ মিলেছে বলে জানাল হু। মাঙ্কিপক্স যেভাবে ছড়াচ্ছে, তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই এই সংক্রমণের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন অর্থাৎ দলগতভাবে সংক্রমণ ছড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিকর্তা টেড্রস ঘেব্রেসেস প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, এর ফলে সবথেকে বেশি বিপদে শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে জার্মানিতে। এছাড়া আমেরিকা, বেলজিয়াম, স্পেন, সুইডেনের মতো দেশগুলিতে মিলেছে মাঙ্কিপক্স-র জীবাণু। উদ্বেগ থাকলেও, যদিও ভাইরাস নিয়ে এখনই কোনও চিন্তার কারণ নেই বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে আক্রান্ত দেশগুলিকে নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স -র উপর নজরদারি চলছে। কিন্তু যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, ভবিষ্যতে তা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের মাঙ্কিপক্স বিশেষজ্ঞ রোসামুন্ড লুইসের মতে, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশগুলিতে যেভাবে সংক্রমণ দিনদিন বাড়ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
মাঙ্কিপক্স-এর নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন না থাকলেও, হু-র মতে, গুটিবসন্ত নির্মূল করার জন্য যেসমস্ত ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়, তা মাঙ্কিপক্স-এর বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। জ্বরের সঙ্গে গা ব্যথা, ফুসকুড়ি হচ্ছে এই রোগের উপসর্গ। সাধারণ দুই থেকে চার সপ্তাহ লক্ষ্যণগুলি থাকে। নিজে থেকেই চলে যায় লক্ষ্যণগুলি। এই সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে মাঙ্কিপক্স-এর সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিও। করোনার এখন নির্মূল হয়নি। আবারও বাড়ছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭ হাজার ২৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৩৩ জন। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পর দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ৫২২। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯৮। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮ জন মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ জন।
এই পরিস্থিতিতে এই নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ঝুঁকি এড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এনসিডিসি ও আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে এ্যালার্টও। সংক্রমণের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
❤ Support Us