- Uncategorized এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ৭, ২০২২
স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ আটে আফ্রিকান সিংহ মরক্কো

টাইব্রেকারে আশরাফ হাকিমির শট জালে জড়িয়ে যেতেই যেন গর্জে উঠল মরক্কো। উদ্বেলিত আফ্রিকাও। এটাই তো স্বাভাবিক। এদিন ইউরোপের আধিপত্যের বিরুদ্ধে মরক্কোই তো ছিল আফ্রিকার মুখ। কারণ কাতার বিশ্বকাপে একমাত্র আফ্রিকান দল হিসেবে তারাই তো উঠল কোয়ার্টার ফাইনালে। স্পেনকে টাইব্রেকারে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে জায়গা করে নিল আফ্রিকান সিংহরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। টাইব্রেকারে তিনটি শট আটকে মরক্কোকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন গোলকিপার ইয়াসিন বোনো।
এদিন ম্যাচের প্রথম কয়েক মিনিট স্পেনেরই প্রাধান্য ছিল। মনে হচ্ছিল তিকিতাকার ঝড় উঠবে। কিন্তু মরক্কো আস্তে আস্তে খেলা ধরে নেয়। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট যেভাবে খেলছিল মরক্কো, মনে হচ্ছিল স্পেন হয়তো দাঁড়াতেই পারবে না। কিন্তু খেলা যত গড়িয়েছে, ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয় স্পেন। তবে সেই দাপট দেখাতে পারেনি। বরং মরক্কোর সামনেই প্রথম গোলের সুযোগ এসেছিল। ৬ মিনিটে আলবাকে পরাস্ত করে ডানদিক দিয়ে ঢুকে শট নিয়েছিলেন জিয়েচ। তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১২ মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল মরক্কোর সামনে। সুবিধাজনক জায়গা থেকে আশরাফ ফ্রিকিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২৫ মিনিটে মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বনুর ভুলে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল স্পেনের সামনে। তাঁর ভুল পাস ধরে বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন টোরেস। পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে গাভি শট নিয়েছিলেন। তাঁর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই আসেনসিওর শট সাইড নেটে আছড়ে পড়ে। ৩৩ মিনিটে আবার মরোক্কোর সামনে গোল করার সুযোগ এসে গিয়েছিল। টোরেসের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন মাজরাউই। স্পেন গোলকিপার সিমন দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় কোনও রকমে সেই শট বাঁচান।
দ্বিতীয়ার্ধে আলভারো মোরাতা, সোলের, উইলিয়ামসরা মাঠে নামার পর আক্রমণে গতি বাড়ে স্পেনের। তাতেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। মরক্কোর ডিফেন্সে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন সোফিয়ান আমরাবাত। স্পেনের যাবতীয় আক্রমণ তাঁর কাছেই থেমে যাচ্ছিল। শেষ দিকে চাপ বাড়িয়েও গোল তুলে নিতে পারেনি স্পেন। ম্যাচের ইনজুরি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে ওলমোর শট কোনও রকমে বাঁচিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান মরক্কো গোলকিপার।
ম্যাচের ৯৫ মিনিটে দারুণ সুযোগ এসে গিয়েছিল মরক্কোর সামনে। আমরাবাত লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন। সাবিরি সেই বল ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার মুহূর্তে লাপোর্তে পেছন থেকে ফ্লিক করে বল বিপদমুক্ত করেন। না হলে গোল নিশ্চিত ছিল। ১০৪ মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল মরক্কোর সামনে। ছেদিরার শট পা দিয়ে কোনও রকমে আটকান স্পেন গোলকিপার সিমন। ১১৫ মিনিটে আরও একটা সুযোগ নষ্ট করেন ছেদিরা। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসেও গোল পায়নি স্পেন।
টাইব্রেকারে মরক্কোর হয়ে প্রথম শট নেন সাবিরি। ঠান্ডা মাথায় তিনি গোল করেন। স্পেনের সারাবিয়ার প্রথম শট পোস্টে লাগে। দ্বিতীয় শটে গোল করে মরক্কোকে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হাকিম জিয়েচ। স্পেনের সোলেরের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন ইয়াসিন বোনো। মরক্কোর বেনোনের শট আটকে স্পেনকে লড়াইয়ে রাখেন সিমন। বাসকোয়েটসের শট আটকে দেন বোনো। চতুর্থ শটে গোল করে আসরাফ হাকিমি দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন।
❤ Support Us