Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

২১ রাজ্যে পদ্ম জোট ! হাতের একক সিদ্ধান্তে কী ইন্ডিয়ায় বাড়ছে উষ্মা ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
২১ রাজ্যে পদ্ম জোট ! হাতের একক সিদ্ধান্তে কী ইন্ডিয়ায় বাড়ছে উষ্মা ?

হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের পর দিল্লিতেও পদ্ম । দেশের ২৮ রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ২১টিতেই এখন ক্ষমতায় এনডিএ জোট । সভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী জোটের শক্তিক্ষয় নিয়ে । গ্রহণযোগ্যতার প্র‌শ্নে ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষে থাকুন মমতা বন্দোপাধ্যায়, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই দাবি তুলেছেন তাঁর নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সহ অনেকেই । দিল্লিতে আপের পরজয়ের পর বিরোধী ঐক্যের প্র‌শ্নে আবারও সামনে এলো সেই প্রসঙ্গ ।

রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনে এবার একাই লড়েছে আম আদমি পার্টি এবং হাত শিবির । নির্বাচনের ফলাফলে হাত শিবির খাতা খুলতে পারেনি, অন্যদিকে সর্বভারতীয় স্তরে তাদের জোটসঙ্গী আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি সিট । ১৯৯৩ এর প্রথমবার রাজধানীতে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি । এরপর ২০২৫ এ ফের রাজধানীর তখতে তারা । এই নিয়ে ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে চলছে ডবল ইঞ্জিন সরকার । এনডিএ জোট, বিজেপির দখলে সরাসরি ১৬টি রাজ্য । ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ।

শীত অধিবেশনের শুরুতেই ইন্ডিয়া জোটের অভ্যন্তরীন অস্থিরতা নিয়ে, সংসদের সমানে কংগ্রেসের নাম করেই কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক জোটে শরিকের ধর্ম পালন করছে না বহু দল, ফলে বিরোধী জোটে ক্ষোভ বাড়ছে । শরিকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই একক সিদ্ধান্তের জন্য ইন্ডিয়ার অন্দরে বাইরে বারবার সমালোচিত হয়েছে হাত শিবির ।

গত অক্টোবরে হরিয়ানার নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করেনি আম আদমি পার্টি । ২০২২ এ গুজরাট এবং পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনেও আলাদা করে নির্বাচনে লড়েছিল কেজরিওয়ালের দল । ফলে ভোট কাটার প্র‌শ্নে হাত শিবিরের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অভ্যন্তরীণ ঠান্ডা স্রোত ছিলই, দিল্লি নির্বাচনের পর এবার সেই জটিলতাই প্রকাশ্যে এলো । নির্বাচনে ভরাডুবির পর প্রকাশ্যেই ইন্ডিয়া জোটের দুই অন্যতম মুখ কোন্দলে জড়িয়ে পরেছে ।

এপ্রসঙ্গে সোমবার,পরিষদীয় বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, হরিয়ানার নির্বাচনে আপ কংগ্রেসকে সমর্থন করলে এবং দিল্লিতে আপ কং জোট হলে এই ফল হত না । এতে যে পদ্ম শিবিরের হাতই শক্ত হয়েছে, সেই ইঙ্গিতই করলেন তিনি । দিল্লির নির্বাচনে আপকেই সমর্থন করেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল, দিল্লিতে প্রচার করেছেন দলের দুই সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং শত্রুঘ্ন সিনহা ।

জোটধর্মের প্রসঙ্গে মমতার বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এপ্রসঙ্গে বলেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ২৫ তো ছাড় পঞ্চাশেও দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে না বিজেপি । এই নির্বাচনে আপে ভরাডুবি সবাই দেখেছে । উড়িষ্যাতেও নবীন পট্টনায়েকের সরকারের পতন হয়েছে, এবার বাংলাতেও পালাবদ়ল হবে । গত লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জনসভায় বলেছিলেন, পদ্ম শিবিরের স্বর্ণযুগ এখনো অধরা। কেরল, উড়িষ্যা এবং বাংলার মসনদ জয়ের পরেই সেই লক্ষ্যপূরণ হবে । যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এই সব দাবিকে আমল দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির । সোমবারের দলীয় বৈঠকেই দলের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ২০২৬ এর নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশের জনসমর্থন নিয়েই বাংলা সরকার গড়বে তাঁর দল । হরিয়ানা এবং দিল্লিতে কংগ্রেস এবং আপের জোটের পক্ষে তিনি থাকলেও, নিজের রাজ্যে একাই নির্বাচন লড়বে তাঁর দল, তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি । এর আগেও জাতীয় রাজনীতিতে জোট নিয়ে তিনি সরব হলেও, আঞ্চলিক রাজনীতিতে যার যেখানে শক্তি বেশি, সেই নেতৃত্ব দেবে, এই নীতিতেই তিনি আস্থাশীল ।

এপ্রসঙ্গে রাজ্য কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, গোয়া এবং ত্রিপুরা এবং মেঘালয়েও আসামে তৃণমূল ভোট কেটে জোট ধর্ম নষ্ট করেছে । অরবিন্দ কেজরিওয়ালও হরিয়াণা, গুজরাটের নির্বাচনে ১৩ শতাংশ ভোট কেটেছে ।আসলে এরাই বিজেপি হয়ে পর্দার পিছন থেকে রাজনীতি করছে ।

পশিচমবঙ্গে গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বাঁধে কংগ্রেস । ২০১৬ তে ৭৬টি আসন পেয়েছিল তারা । যদিও ২১ এর নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস কোন দলই একটি আসনও পায়নি । এমতাবস্থায় ২০২৬ এর নির্বাচনে তৃণমূলের একলা লড়াইয়ের ঘোষণা নিয়ে তাদের বক্তব্য দুর্নীতির প্রশ্নে তৃণমূল জনআস্থা হারাচ্ছে, তাই তাদের সঙ্গে কেউ জোটে যেতে চাইছে না ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!