- কে | রি | য়া | র-ক্যা | ম্পা | স দে । শ
- অক্টোবর ১৭, ২০২৩
সাফল্যের শীর্ষে গুয়াহাটির এনইএফ আইন মহাবিদ্যালয়। এলএলবি ফাইনালের মেধা তালিকায় ৯

প্রত্যাশিত রেজাল্ট করল এনইএফ ল কলেজ। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম ৯টি আসন দখল করল এনইএফের কৃতিরা। লাগাতার এই আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সকৃতিত্ব দেখিয়ে আইন অধ্যয়নের প্রতি সমাজের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে। সচেতনভাবেই ,তারা সাফল্য অব্যাহত রাখতে অভ্যস্ত। কলেজের পরিবেশ, অধ্যয়নের গুণমান, উপযুক্ত ফ্যাকাল্টি, স্বচ্ছ প্রশাসন ব্যবস্থা আর লেখাপড়ার উন্নত কাঠামোর জন্য কেবল উত্তর পূর্বাঞ্চলেরই নয়, এনইএফ আইন কলেজ সর্ব ভারতীয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিস্ময় তৈরি করেছে। কলেজের স্থপতি ড. জাকির হোসেনের আগ্রহে দেশের সেরা শিক্ষকরা এখানকার পঠন পাঠনের সঙ্গে যুক্ত। পূর্ব ভারত আর উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের আইন অধ্যয়নের প্রথম পছন্দ এনইএফ ল কলেজ। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত পছন্দকে বাড়িয়ে তোলে কলেজে মনোহর পরিবেশ এবং অধ্যয়নের শৃঙ্খলা। প্রতিবছরই আইনের ফাইনাল পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা কৃতিত্ব অর্জন করছে।এবার তাদের সাফল্যের মাত্রা অনেক বেশি। অসমের প্রতিটি জেলা শহরে, পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যে আইন কলেজ ছড়িয়ে আছে।প্রতিটি কলেজই একে অন্যের সঙ্গে স্বাস্থ্যময় প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ। এনইএফ ল কলেজ বিজ্ঞপিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নীরব অধ্যয়ন আর অনুশীলনের সাধনায় রূপান্তরিত করে বেনজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এনইএফ অসমের অন্যতম প্রথম বেসরকারি আইন শিক্ষার সতন্ত্র ক্যাম্পাস।যখন এ কলেজ স্থাপিত হয়, তখন এরকম স্বশাসিত, স্বনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উত্তর পূর্বাঞ্চলে গুটি কয়েক। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, কটন কলেজ, বি বরুয়া কলেজ ছিল শিক্ষা বিভাগের অধীনে।অন্যকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলাদা আইন মহাবিদ্যালয় গড়ে তোলেনি। এ ব্যাপারে সচেষ্টও হয়নি। এনইএফ- এর আইন অধ্যয়ন পাঠক্রমের বহুত্ব ও সাফল্য দেখে অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও আলোড়িত বোধ করে এবং অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরায় একাধিক আইন শিক্ষায়তন তৈরি হতে থাকে। কিন্তু এইইএফ-এর আভিজাত্য কেউই এপর্যন্ত ছুঁতে পারেনি। আলিগড়, দিল্লি ও হায়দরবাদের আইন শিক্ষাকেন্দ্রের সমতুল্য এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের সাফল্যকেও অতিক্রম করেছে এনইএফ আইন মহাবিদ্যালয়। এখানে আর্টস, কমার্স ও ম্যানেজমেন্টের ইন্টিগ্রেটেড পাঠক্রম আছে। অন্যান্য আইন শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে, এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশেনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতেও পঠন পাঠনের এরকম বৈচিত্র ও সুবন্দোবস্ত নজরে আসে না।এনইএফ-এ বিএ এলএলবি, বিবিএ, এলএলবি ও এলএলএমের পাঠক্রমের পরিধি খুবই সংহত। বিস্তৃত।উন্নত দেশগুলিতে এরকম মডেল চালু আছে। প্রাচ্য-প্রাতীচ্যের আইন শিক্ষার মিলিত প্রবাহ এসে সমবেত হয়েছে মহানন্দ ব্রহ্মপুত্র ছোঁওয়া গুয়াহাটির এনইএফ ক্যাম্পাসে।
একারণেই দৃষ্টি তার প্রসারিত, পাঠক্রম সীমান্তহীন এবং সাফল্য প্রতিবছর অতিক্রম করছে ছাত্রছাত্রীদের পূর্বতন কূতিত্বকে। এখানকার বিদ্যান্বেষীরা অনায়াসে বলতে পারে, আই অ্যাম অ্যান এনইএফিয়ান। যেমন গুয়াহাটি কটন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রাজকীয় ভঙ্গিতে জ্ঞাপন করে নিজেদের পরিচয়, আই অ্যাম অ্যা কটনিয়ন।
❤ Support Us