Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৭, ২০২৩

নির্বাচনী প্রচারে বাড়ছে তরজা। কোচবিহারের সভায় নিশীথকে “গুন্ডা” সম্বোধন মমতার। পাল্টা কটাক্ষ নিশীথের, ‘উনি তো গুণ্ডার পিসি’।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নির্বাচনী প্রচারে বাড়ছে তরজা। কোচবিহারের সভায় নিশীথকে “গুন্ডা” সম্বোধন মমতার। পাল্টা কটাক্ষ নিশীথের, ‘উনি তো গুণ্ডার পিসি’।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিশীথ প্রামাণিকের দ্বৈরথ এখন তুঙ্গে। এই আবহেই দিনহাটার গীতালদহতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে এক তৃণমূল সমর্থকের প্রাণহানি হয়েছে।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের সভা থেকে নাম না করে নিশীথ প্রামাণিককে গুন্ডা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার থেকে বের হয়ে যাবার পর সোমবার রাতেই নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘’আমি যদি গুন্ডা হই তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন গুন্ডার পিসি । একেবারে স্পষ্ট ভাষাতেই বলছি।’’

সোমবার কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারির নির্বাচনী সভা থেকে নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে গুন্ডা বলে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এ নিয়ে মমতাকে এবার পালটা আক্রমণ করলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘’গুন্ডার পিসি’’ বলে কটাক্ষ করলেন। তবে এর ফলে স্থানীয় অশান্তি আরও বাড়ল। মঙ্গলবার সকালেই গীতালদহে গুলি চলল। এক তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারালেন। আহত ৬। তৃণমূলের অভিযোগ এই ঘটনা নিশীথ প্রামাণিকের উস্কানির ফল। না হলে সীমান্ত এলাকায় জিরো পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে কী করে?

এদিন চান্দামারির জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘’একটা গুন্ডা কখনও হোম মিনিস্টার হয়! এখানে যখন বিএসএফ লোককে গুলি করে মেরে দিচ্ছে, তখন উনি আফ্রিকায় ঘুরছেন। তারপর ১০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ঢুকে পড়বেন ভোটে।’’ মমতার বক্তব্যের পালটা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের মানুষের জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। তাই তিনি ওসব বাজে কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় পুরুষদের দেখা যায়নি। মহিলাদের জোর করে প্রলোভন দেখিয়ে জনসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষাতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। তাতে মনে হচ্ছে উনি সংবিধান ভুলে গিয়েছেন।”

বিএসএফের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘’পাচারকারী মারা গেলে কেন তৃণমূলের এত দরদ? তৃণমূল নেতাদের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে তা আমি জানতে চাই।’’ নিশীথ প্রামাণিক আরও  বলেন, ‘‘রাত জেগে সব সময় সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে দেশকে সুরক্ষিত রাখেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাদেরকে নিয়ে কোনও কটুক্তি করা মানেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে কটুক্তি করা। দেশের সংবিধানকে অসম্মান করা।’’ এছাড়াও নানা বিষয় নিয়ে এদিন শাসক দলকে আক্রমণ করেন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘’আজ জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই আক্রমণ গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ, এই আক্রমণ বাংলার সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দাবি, “১১ বছরে বাংলায় যত রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে এর আগে তা কোথাও কোনদিন হয়নি।”
তবে এই বাদানুদাবের মধ্যে পড়ে নিরীহ মানুষের যাতে প্রাণ না যায় সেই বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে কিছু শোনা যাচ্ছে না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!