- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৩, ২০২৩
শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করায় কমিশনের সদিচ্ছার অভাব, সর্বদলীয় বৈঠক শেষে অভিযোগ বিরোধীদের

রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠকে কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিরোধীরা। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন।
বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদৌ প্রস্তুতই নয়। কমিশন শান্তিতে ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য কি পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা স্পষ্ট করে জানাচ্ছে না। আসলে নির্বাচন কমিশনার ঠিক করে নিয়েছেন তিনি কি ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
নির্বাচনের আগে যেখানে সর্বদলীয় বৈঠক হওয়ার কথা সেখানে কেন নির্বাচন ঘোষণার পর সর্বদলীয় বৈঠক হচ্ছে? বিরোধীদের এই প্রশ্নে কোনও উত্তর দেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
মনোনয়নের সময় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আদালত কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছে, এই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিরোধীরা মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকে রাজীব সিনহার কাছে জানতে চান, এখনও একটা বড় অংশের মনোনয়ন বাকি। আপনি কি আরও একদিন সময় মনোনয়ন পেশের জন্য বাড়াবেন? বিরোধীদের এই প্রশ্নেরও কোনও উত্তর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দেননি বলে বিরোধীরা বৈঠক শেষে জানান।
সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের যা অবস্থান দেখলাম তাতে রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ও আবাধ নির্বাচন হতে পারে না। কমিশনার তাঁর অযোগ্যতা, আইনি বাধ্যবাধকতা, রুলবুকের কথাই খালি বলছেন। তিনি একবারও নাগরিকদের ভোটদান নিশ্চিত করা, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনও নিশ্চয়তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দিতে পারেননি। কমিশন কলছে, একজন অবজার্ভার ২টো ব্লকে কাজ করবে,এটা অসম্ভব। আমরা প্রথাগত ভাবে এই সর্বদলীয় বৈঠকে গিয়েছি, কমিশনার ঠিক করে নিয়েছে কি করে ভোট হবে। ভাঙড়, লাভপুর,দিনহাটা,ক্যানিংয়ের মতো ভোট হবে। আমাদের লড়তে হবে।”
এদিকে বৈঠক শেষে কংগ্রেসের কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালত বলেছে মনোনয়ন জমার ক্ষেত্রে একদিন সময় বাড়ানোর অধিকার কমিশনের আছে, এই অধিকার আদালত কমিশনের উপর ছেড়েছে। আমরা বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলি, এখনও বহু মনেনয়ন জমা দেওয়া বাকি। একদিন সময় বাড়ানোর কথা তো আদালতে আপনারাই বলেছিলেন, সময়টা কি বাড়াবেন? কিন্তু কমিশনারের কোনও সদিচ্ছা এক্ষেত্রে দেখিনি। তাই আমরা মনে করি, কমিশনের সদিচ্ছার অভাব আছে। এমন কি ফোর্স নিয়েও কমিশনের সদিচ্ছা কোনও সদিচ্ছা কমিশন দেখায়নি। সত্যি আজ বৈঠকের পর আবারও আমাদের মনে হচ্ছে শান্তিতে ও সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সদিচ্ছার অভাব আছে।”
কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বৈঠক শেষে বলেন, “মডেলনকোড অফ কন্ডাক্ট চালু হওয়ার পর কেন কমিশন নির্রাপত্তা সুনিশ্চিত করছে না? সমাজবিরোধীরা জেলায় জেলায় রোজ হামলা করছে, বোমা মারছে, গুলি চালাচ্ছে, প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না, কাগজপত্র লুঠ করে নিয়ে পালাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন তো প্রহসনে পরিণত হয়েছে।”
সর্বদলীয় বৈঠক শেষে শাসক দলের পক্ষে তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার কথা। তবে বিরোধীরা ইচ্ছে করে অশান্তির চেষ্টা করছে। রাজ্যের মানুষ এসব চাইছে না।
তবে আদালত এই মুহূর্তে ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বলেছে। এই নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব সর্বদলীয় বৈঠক শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছেন। এদিকে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যের কথায় চলছে।”
❤ Support Us