Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩

সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মোদির মুখে নেহরুর প্রশংসা। পুরোনো সংসদ ভবন যুবদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মোদির মুখে নেহরুর প্রশংসা। পুরোনো সংসদ ভবন যুবদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে উঠে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “পুরনো সংসদ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল বিদেশি শাসকের। কিন্তু ভবন নির্মাণের নেপথ্যে ছিল ভারতীয়দের শ্রম এবং অর্থ। তবে ভবন নির্মাণে বিদেশি শাসকদের ভূমিকা থাকলেও সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে। সেই অধ্যায়কে স্মরণে রেখেই এগিয়ে যাওয়া হবে। পুরনো ভবন দেশের যুব সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হিসাবে থেকে যাবে। অশ্রুপূর্ণ চোখে এই সদন থেকে আমরা বিদায় নেব। পুরোনো বাসভবন ছেড়ে যেতে যে রকম লাগে, এটাও তেমনই  অভিজ্ঞতা। সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির। ৪৩ বছর ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত এই সংসদের সদস্য ছিলেন।” ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন। মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হবে, পুরোনো সংসদ ভবন হয়ে যাবে স্মৃতি।

এদিন মোদির মুখে জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সংসদের ভাষণে তাঁর পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন এদের মধ্যে তিন জন প্রয়াত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছে সংসদ।” সংসদের উপর হামলাকে জীবাত্মার উপরে হামলা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী । নেহরু, ইন্দিরা, অটলবিহারী থেকে মনমোহন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। পটেল এবং আডবানীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বললেন, “বল্লভভাই পটেল এবং লালকৃষ্ণ আডবানী সংসদকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
সংসদের গুরুত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “সংসদই আধুনিক গণতন্ত্রের মন্দির।” ২০১৪ সালে প্রথম সংসদে প্রবেশের সময় মাথা নত করে করে প্রণাম করার স্মৃতিচারণ করেন মোদি। ভারত বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠছে, এমনটা জানিয়ে কারও নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের প্রতি সন্দেহ করার স্বভাব কিছু মানুষের যাবে না।  স্বাধীনতার পর থেকেই এটা চলছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ থেকে জরুরি অবস্থা যেমন ইন্দিরা গান্ধির সময় জারি হয়েছে তেমন চরণ সিংয়ের সময় গ্রামীণ মন্ত্রক হয়েছে। অর্থনীতির নতুন দিগন্ত খুলে গেছে প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের সময়। সর্বশিক্ষা শুরু হয়েছে অটলজির সময়। আবার এই সংসদ থেকে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। এই সংসদ ভবন থেকে অটলজি বলেছেন, সরকার, দল আসবে যাবে, দেশ অটুট থাকবে।” শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম এসেছে দেশের শিল্পনীতি প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ভাষণে।

নরেন্দ্র মোদির ভাষণে রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার প্রশংসা এদিন শোনা গেছে । নরেন্দ্র মোদি বলেন, “নেহরুজির বক্তব্য এই সংসদকে অনুপ্রাণিত করেছে।” এর পাশাপাশি ইন্দিরা আমলের জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই সংসদ ভবন যেমন জরুরি অবস্থা দেখেছে, তেমনই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত হতেও দেখেছে।” তবে ইন্দিরা আমলের প্রশংসা করে মোদি এ-ও বলেন যে, “এই সংসদ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধির পাশে দাঁড়িয়েছিল।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক দেশ , এক কর  অর্থাৎ জিএসটি এই সংসদ থেকে ঘোষিত হয়েছে।”  এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, জি ২০ বৈঠকের সাফল্য কোনও দল বা ব্যক্তির নয়, গোটা দেশের। জি-২০ -র মাধ্যমে ভারত গোটা বিশ্বে বিবিধতার বার্তা দিয়েছে। এছাড়াও চন্দ্রাযান-৩-র সাফল্যে ভারতের সঙ্গে সারা বিশ্ব অভভূত বলে সংসদে মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!