Advertisement
  • Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ২৭, ২০২৩

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বাদ পড়তে পারেন ইকবাল, সিদ্ধান্ত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বাদ পড়তে পারেন ইকবাল, সিদ্ধান্ত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের

সিলেবাসে যুক্তিসঙ্গত কাঁটছাটের প্রক্রিয়ায় বাদ পড়তে পারেন মহম্মদ ইকবাল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে বাদ যাবে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছার’ স্রষ্টার জীবনী ও সাহিত্যকর্ম। এই মর্মে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালন পর্ষদের কাছে। তাঁদের অনুমোদন পেলেই বাস্তবায়িত হবে এ পদক্ষেপ।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিএ ষষ্ঠ সেমেস্টারে মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ শিরোনামের অধ্যায়টির অংশ ছিল মহম্মদ ইকবালের জীবন ও সাহিত্যকর্ম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন পর্ষদের কাছে আকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ বাদ দিতে হবে এটিকে। পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তাই আলামা ইকবালের ওপর কোপ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

অসামান্য কবি প্রতিভার অধিকারী ইকবাল ১৮৭৭ সালে  জন্মেছিলেন অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে। মৃত্যুও হয় দেশের ঐক্য থাকাকালে ১৯৩৮ সালে । আজীবন তাঁর কবিতায় ধ্বনিত হয়েছে ঐক্য , ভ্রাতৃত্ব ও দেশপ্রেমের সুর। সুফি কবি জালাল উদ্দিন রুমির দর্শনের বিশেষ অনুরাগী আলামার কাব্যে সেই দর্শনের মরমিয়া ভাবনার ছাপ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সারে জাহা  সে আচ্ছা তার অমর সৃষ্টি। আজও তা সঙ্গীত প্রেমী ও দেশপ্রেমীকে সমন্বিত করে। শুধু কাব্য প্রতিভা নয়, রাজনীতির আঙ্গিনায়ও পা রেখেছিলেন  ইকবাল। মুসলিম লীগের সভায় সভাপতিত্ব করেছেন। পাকিস্তানের ভাবনা যখন কল্পনাতেও আসেনি, সে সময়ই মুসলিমদের অধিকার রক্ষার জন্য স্বতন্ত্র ভূখণ্ডের  পরিকল্পনা  সামনে এনেছিলেন তিনি। যদিও কখনই তা উগ্র সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত চিন্তার ফসল ছিল না। আজীবন  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সওয়াল করেছেন নিজের লেখনীকে হাতিয়ার করে।  মৈত্রীর এমন  বড়ো প্রবক্তা , গভীর  দার্শনিক প্রজ্ঞার অধিকারী  কবিকে কায়েমি  স্বার্থ চরিতার্থ করতে   বর্তমান প্রজন্মর থেকে  আড়াল করা  অন্যায়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!