Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের বাইরে সরকারপন্থী উপাচার্যদের ধর্না

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের বাইরে সরকারপন্থী উপাচার্যদের ধর্না

রাজভবনের বিবৃতির প্রতিবাদে রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত শুক্রবার রাজপথে নেমে এল, শুক্রবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। তৃণমূল আমলে নিযুক্ত উপাচার্যদের সংগঠন দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যরা তুমুল আওয়াজ তুলেছেন রাজভবনের গেটের বাইরে। রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে তীব্র প্রতিবাদ হল এই সংগঠনের তরফে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অরাজকতা বৃদ্ধি করছেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত পাশ হওয়া বিল নিয়ে অসাংবিধানিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে রাজভবনের বাইরে ধর্নার হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এই আবহেই এবার রাজভবনের সামনে ধরনায় বসলেন তৃণমূল পন্থী উপাচার্যরা।

এদিনের কর্মসূচি নিয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘”আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি আচার্য তাঁকে খোলা চিঠি দেব। বাংলার কৃতী শিক্ষাবিদরা আজ এখানে এসেছেন। আমরা কোনও মাইকের ব্যবহার করছি না। কোনও ধরনা করছি না। আমাদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ এখানে তুলে ধরতে এসেছি। আমাদের বক্তব্য, আইন মেনে কাজ করুন। আইন মেনে উপাচার্য নিয়োগ করুন।” এদিন সুবোধ সরকার বলেন, ‘‌আমি তো উপাচার্য নই। উপাচার্য হবোও না। তবু রাস্তায় নামতে বাধ্য হলাম। কারণ, আমি একজন অধ্যাপক হিসাবে মনে করি রাজ্যপাল যা করছেন তাতে ওনাদেরই দফতর ইউজিসি’‌র নিয়ম মানছেন না। নিশুতি রাতে উনি উপাচার্য করে দিচ্ছেন। এটা বিচিত্র।”

দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যদের অভিযোগ, “প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পাশ হওয়া বিলেও সাক্ষর করছেন না। ফলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত হন ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুবোধ সরকার, শিবাজীপ্রতিম বসু, গৌতম পাল, অভীক মজুমদার, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে।
শুক্রবার রাজভবনের বাইরের জমায়েত থেকে শিক্ষাবিদরা বলেন, আচার্য আমাদের কোনও কথার গুরুত্ব দেননি। তাই বাধ্য হয়েই পথে নামতে হল।

বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বাংলায় বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল অভিযোগ করে করে বলেন, আপনারা জানতে চাইবেন, কেন সরকারের মনোনীত উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ হল, তাঁদের মধ্যে কেউ ছিল দুর্নীতিপরায়ণ, কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে, কেউ রাজনৈতিক খেলা খেলছিল। এখন আপনারাই বলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি এমন অন্তবর্তী উপাচার্য থাকা উচিত!’‌ আর তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!