Advertisement
  • গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
  • ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩

একটু ভালো থাকার জন্য

দেবাশিস চক্রবর্তী
একটু ভালো থাকার জন্য

অলঙ্করণ: দেব সরকার

হাসতে হাসতে গড়িয়ে যাচ্ছে স্মৃতি। স্মৃতি অফিসে নতুন জয়েন করেছে। রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক। প্রথম দিনই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বললেন ‘তুমি অনীশের কাছে যাও, ও বলে দেবে তোমাকে কী করতে হবে।’ স্মৃতি- ‘ঠিক আছে স্যার’ বলে উঠে পড়ল। আর সে মুহূর্তেই বাংলা অনার্সের কৃতী ছাত্রী স্মৃতির মনে পড়ল ‘ব্রাঞ্চ ম্যানেজার’-এর অর্থ। শাখা প্রবন্ধক। কাঠের দরজা। চেম্বারের বাইরে নেমপ্লেট। নতুন চাকরি। পোস্টিং বারুইপুর। পদ্মপুকুর। স্মৃতি আসে নিউ আলিপুর থেকে। প্রথম প্রথম কষ্ট হয়েছিল। এখন আর হয়না। অনীশদা ফ্লোর ম্যানেজার। জয়েন করার দুদিন বাদেই ক্যাশে পোস্টিং।

‘জাল নোট চিনব কী করে ?’ স্মৃতির অসহায় প্রশ্ন ।

‘মেশিন আছে । চিন্তা নেই।’ অনীশদার অভয়। অনীশদা প্রায় ছ ফুট। থুতনিতে দাঁড়ি। কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ায়। লম্বা নাক। বিষাদ মাখানো দুটো চোখ। এ্যাসিষ্টান্ট ম্যানেজার। কম কথা বলে। বড্ড সিগারেট খায়। তবে বাইরে গিয়ে। সেন্ট্রালি এ.সি. পুরো ব্রাঞ্চ। এখানে স্মোকিং নিষিদ্ধ। অনীশদা প্রথম দিন বলেই ছিল স্মৃতিকে – ‘আগে ক্যাশ টা শেখো, দেখবে তোমার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে চলে গেছে ।’ স্মৃতি এখন ক্যাশে আছে। বিভিন্ন ধরণের মানুষ। তাদের আবদারও ভিন্ন। কেউ জমা দেয় টাকা। কেউ টাকা তুলে নেয়। ময়লা, ছেঁড়া, অচল, চকচকে কত ধরণের বহুরূপী টাকা। কাস্টমারদের সঙ্গে তর্ক হয়। জিতে যায় স্মৃতি, হেরেও যায় স্মৃতি।

সুজিত একদিন বলেই ফেলল স্মৃতিকে ‘বাংলা অনার্স কী কাজে লাগছে তোর ?’ সুজিত ও স্মৃতি বহুদিনের বন্ধু । ‘তোরই বা কেমেস্ট্রি অনার্স কোন কাজে লাগছে ?’ লাল চা-এর কাপে চুমুক দিতে দিতে বলল স্মৃতি। সুগন্ধী চা। জায়গাটা ওদের ভারী পছন্দ। আজ ওরা অনেকক্ষণ ধরে আড্ডা মারছে। প্রায় সব টেবিল ফাঁকা। শনিবার সাধারণত ফাঁকা থাকে গোলপার্কের এই টি শপ।

সুজিত বিডিও। বর্ধমানের মন্তেশ্বরে পোস্টিং। বরাবর ডাকাবুকো। আর স্মৃতির সঙ্গে আলাপ এই গোলপার্কেই। অটো দুর্ঘটনা। রেসকিউ করেছিল সুজিত। প্রায় পাঁজা কোলে করে ট্যাক্সিতে উঠিয়ে স্থানীয় নার্সিংহোমে স্মৃতিকে নিয়ে গিয়েছিল। ফোনও করেছিল বাড়িতে। বাবা বড় ব্যবসায়ী। স্মৃতির মায়ের একটা বুটিক আছে। নার্সিংহোমে এসে স্মৃতির বাবা অনিল কুণ্ডু সুজিতের দু হাত জড়িয়ে ধরে বলেছিল ‘উফ আমার যে কি উপকার করলে।’ সুজিত কোনোক্রমে হাত ছাড়িয়ে একেবারে রাস্তার বাইরে । তারপর সুজিত ঘড়িতে দেখলো রাত দশটা । ‘ওরে ব্বাস’ বলে লাফিয়ে একটা অটোতে উঠে পড়ল। কামালগাছি যেতে হবে। এই অটো গড়িয়া অবধি যাবে। গড়িয়া থেকে কামালগাছি যাওয়ার অটো এতো রাত্রে পাওয়া বেশ কঠিন। মা চিন্তা করবে। বাড়িতে অসুস্থ বাবা। হুইল চেয়ারে। ক’দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসে এভাবে মাকে দুশ্চিন্তায় রেখে দেওয়া মোটেও সমীচীন হয়নি।

সেইসময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে, সুজিতের চাকরি হয়নি, দাদা আলাদা তার মা কখনো উলের সোয়েটার বিক্রি করে। কখনো ব্লাউজ তৈরী করে সংসার চালিয়েছে। ওসব একটা ফেজ গেছে সুজিতের। কিছুতেই চাকরি হচ্ছে না। রিটেনে পাশ করেছে, ভাইভাতে আটকে গেছে। এরকম বহুবার। এল.আই.সির এজেন্সি নিয়েছে।

চাকরির জন্য ওই সময়ে প্রায় উন্মাদ হয়ে যাচ্ছিল সুজিত। সুজিতের দাদা অজিতেশ তখন দু-বছর হল বাড়ি থেকে চলে গেছে। অজিতেশ একটি নামী সরকারী ব্যাংকে চাকরি করতো সেই সময়ে। সংসারটা মুখ থুবরে পড়ল। অজিতেশের চাকরি সবে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল সংসারকে এঁদো গলি থেকে রাজপথে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু অজিতেশের ভাবনা ছিল অন্যরকম। সে তার কর্মস্থলের এক কলিগের স্ত্রীর সঙ্গে অ্যাফেয়ারে জড়িয়ে পড়ল। অজিতেশ কলিগের স্ত্রীকে নিয়ে কিছুদিন আত্মগোপন করল। তারপর একসঙ্গে একই ফ্ল্যাটে, গাঙ্গুলী বাগানে। ওখানে অজিতেশ গোপনে ফ্ল্যাট কিনেছে কাউকে জানায়নি। কলিগ ভদ্রলোক অফিসের হায়ার অথরিটিকে কমপ্লেন করেছে। কিন্তু কিছু হয়নি। এসব পার্সোনাল ব্যাপারে অফিস ঢুকবে না, পরিস্কার জানিয়ে দিল। অজিতেশের একটা পজিটিভ দিক আছে। অফিসে কাজের ব্যাপারে তার ভীষণ সুনাম। তার ইমিডিয়েট বস অজিতেশের উপর খুব নির্ভরশীল। মাঝখান থেকে কলিগ রূপায়ন বসু বাইরে বদলি হয়ে গেল।

নতুন বউ নিয়ে কামালগাছির বাড়িতে এসেছিল অজিতেশ। সে এক অদ্ভুত পরিবেশ। সুজিত যথাসম্ভব নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। হুইলচেয়ারে বসে কেমন শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাবা প্রতাপ বাবু । অজিতেশ, অজিতেশের বউ এর দিকে। সবাই চুপ। নিঃশব্দ। সুজিতই ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে এনে মা এর হাতে দিয়ে বলল-বৌদিকে দাও।

এই ফ্রিজটা কিনেছিল অজিতেশ। তার প্রথম মাসের মাইনের টাকা দিয়ে। বৌ বরণ মিষ্টি দিয়ে হল। কমলা, সুজিত ও অজিতেশের মা, তার বউমার হাতে টাকা দিলেন। নতুন বৌ পায়েল ও কর্তব্য করল। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম। পুরো এপিসোড আধঘণ্টার। অজিতেশ তার মধ্যেই তার ব্যাচিলর লাইফের ঘর পায়েলকে দেখালো। ঘর সংলগ্ন বারান্দা। বারান্দা ঘেঁষে ছাদের দিকে উঠে গেছে মাধবীলতা। পেছনে কিছুটা খালি জমি। অজিতেশ জানে ওটা বিক্রি হয়ে গেছে। একজন প্রমোটার কিনে রেখেছে। তারপরেই খাটাল। ওই খাটালের দুধ খাইয়ে কমলা বড় করেছে তার দুই ছেলেকে।

‘জায়গাটা কেমন গ্রাম্য’ পায়েলের কথাটা শোনা মাত্রই কমলার মুখ কালো। সুজিত পরিবেশ সহজ করার জন্য বলল, ‘হ্যাঁ একটু আছে, তবে খাস কলকাতার থেকে আমরা ভালো আছি এখানে।’

অজিতেশ কথাটাকে সাপোর্ট করল। তার বুকেও চিনচিনে ব্যাথা। তার মনে হল যে আর তো সে এ বাড়িতে ফিরে আসতে পারবে না। তার মা তো একবারও বলেনি তাকে ফিরে আসতে। সে জীবনে বহু কুকীর্তি করেছে। মা কোনোদিন কিছু বলেনি। শুধু একবার প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বলেছে– ‘তুই পড়াশোনা শিখে আর মানুষ হলি না, তোর জন্য লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে যায় । তুই শেষপর্যন্ত একটা লম্পট হলি ।’

স্মৃতি এসব কিছুই জানে না। সুজিত বলেনি। স্মৃতি ইদানীং সেটল হতে চাইছে । সুজিতের কাছে এটা প্রেসার। কারণ বাবার অবস্থা যখন তখন । সে কলকাতার বাইরে । যদিও সুজিত একজন সর্বক্ষণের নার্স রেখেছে । সুজিতের কলকাতার বাইরে পোস্টিং । ডি.এম. এর পারমিশন ছাড়া ছুটি নেওয়া যায় না । অনেক হ্যাপা । সুজিত মাঝে মাঝে ভাবে তার টিউশুনি ও কোচিং সেন্টারে পড়ানোই ভালো ছিল। চাকরিটা পেয়েও সে ইতস্তত করছিলো জয়েন করবে কিনা ! কমলাই বকাঝকা করে পাঠিয়েছে । ‘এভাবে কেউ বাবা মার জন্য নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে ? বাবা, মা কি চিরদিন থাকবে ?’ কমলার কথা শুনে সুজিত হতবাক। তার স্কুল অবধি পড়াশোনা করা মা এরকম বলতে পারে সুজিতের ধারণার অতীত ছিল । একদিন ছুটির গোলপার্কে চা খেতে খেতেই স্মৃতি বলল ‘কবে তুমি দেখা করছো বাবা-মার সঙ্গে’ ? সুজিত হ্যাঁ বা না কোনো উত্তর দিল না । স্মৃতি কথাটা আবার রিপিট করল। সুজিত চুপ। সে জানে এই সময়ে স্মৃতিকে বিয়ে করলে এক নতুন সমস্যার সৃষ্টি হবে। তার মা বড়ছেলের বিয়ে নিজের মতো করে দিতে পারেনি । বাবা মরণাপন্ন । ঠিক এই সময়ে মা কে বিব্রত করতে চাইছে না সুজিত ।

স্মৃতির বাবা খানিকটা নিরাশ হল। সুজিত এখনই বিয়ে করতে আগ্রহী নয় শুনে। অজুহাত খাড়া করল তার কলকাতার দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। সুজিত বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে বাড়িতে যখন ফেরে তখন বাড়ির এত কাজের চাপ থাকে যে দেখা হয় না আজকাল স্মৃতির সঙ্গে। মুখোমুখি নয়, মোবাইলে যোগাযোগ হচ্ছে। স্মৃতিকে বিয়ে করার স্মৃতির বাবার অনুরোধ সুজিত  রাখতে পারেনি। সেদিনের পর থেকে স্মৃতি নিষ্প্রভ। সুজিত ফোন করলে ফোন ধরে। মামুলি কথা। স্মৃতির গলার স্বর নিঝুম।

সাধারণত যেকোনো জরুরি মিটিং-এ সুজিত মোবাইল সুইচ্‌ড অফ রাখে। ডি.এম. এর নির্দেশ। কিন্তু আজ সে মোবাইল অফ করতে ভুলে গেছে। হঠাৎ মোবাইলের রিং টোন বেজে উঠল। প্রায় দৌড়ে মিটিং থেকে বাইরে সুজিত। বাবার মৃত্যু সংবাদ।

এগারো দিনের কাজ। সবাই এসছে। অজিতেশ আসেনি। অজিতেশ-কে জানিয়েছে কমলা। তবু অজিতেশ আসেনি। শ্রাদ্ধের দিন অজিতেশ ফোন করে সুজিতকে বলল আমি আলাদা কাজ করব। এর মধ্যে একটা মিরাক্কেল ঘটে গেল। সুজিতের ট্রান্সফার। একেবারে নবান্নে। অর্ডার পেয়ে সুজিত হতবাক। মাত্র আড়াই বছর এখানে এসছে। এত তাড়াতাড়ি ট্রান্সফার হয় না। কমপক্ষে তিনবছর তো ট্রান্সফারের নিয়ম। নতুন পোস্টে জয়েন করার সাতদিনের মাথায় স্মৃতির ফোন এল। ‘তুমি এসেছো কলকাতায়’ ? স্মৃতির গলার স্বরে বৃষ্টিমগ্ন আকাশ। অনেকদিন পর, অনেকদিন পর। অবিকল। সুজিত তখন বাবার ফেলে যাওয়া হুইলচেয়ারটা দেখছে। দেখতে দেখতেই প্রশ্ন করল “তুমি কী করে জানলে ?”। স্মৃতি বলল – এটা আমার তোমাকে উপহার।

নবান্নের পিওনও জানে সুজিতের ট্রান্সফারের পেছনের ঘটনা । একদিন সুজিতের বস আই.এস. সায়ন্তন চ্যাটার্জি বলেই দিলেন ।

তুমি তো আমাদের ইণ্ডিয়ানে চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট অনিলদার হবু জামাই, তার সুপারিশেই তোমার ট্রান্সফার । অনিল কুণ্ডু চিফ সেক্রেটারির খুব ঘনিষ্ঠ ।

ট্রান্সফার হয়েছে সুজিত প্রায় একমাস। অথচ তার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে হচ্ছে না স্মৃতির মুখোমুখি হতে। কে যেন পেছন টেনে দিচ্ছে। স্মৃতির ফোন ও রিসিভ করছে না সুজিত। মেসেজ পাঠাচ্ছে স্মৃতি। কী যে হচ্ছে আজকাল সুজিতের! কমলাই একদিন প্রশ্ন করল– তুই হঠাৎ এত চুপচাপ কেন ?
বাড়িতে আজকাল সুজিতের ফাঁকা ফাঁকা লাগে। বড্ড বেশি বাবার কথা মনে পড়ে। দাদার ফেলে যাওয়া ঘরটা দেখলে বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে। এক ছুটির দিনে, সেদিনই তার গোলপার্কের টি শপে স্মৃতির সঙ্গে দেখা করার কথা…, সুজিতের মোটেও যেতে ইচ্ছা করছে না। সে গোলপার্কের পরিবর্তে গাঙ্গুলি বাগানে অজিতেশের ফ্ল্যাটে চলে এল। অজিতেশ, সুজিতকে দেখে দারুণ খুশি। আর সেদিনই আবিস্কার করলো পায়েল, তার বৌদির আগের স্বামীর সন্তান স্প্যাসটিক। প্রথম যেদিন অজিতেশ, পায়েল ও বাচ্চাকে নিয়ে কামালগাছির বাড়িতে গিয়েছিল, সেদিন, সুজিতের মনে আছে পায়েলের কোল থেকে বাচ্চাটা নামছে না । সুজিতের মা দু-একবার কোলে আনার জন্য হাত বাড়িয়ে ছিল। বাচ্চাটা কেমন ভয়ার্ত চোখে পায়েলের গলা জড়িয়ে ধরছিল।
অজিতেশের কাছে সব ঘটনা সুজিত সেদিন শুনল। এই স্প্যাসটিক বাচ্চাটাকে রূপায়ন, পায়েলের আগের স্বামী, একেবারে সহ্য করতে পারছিল না । মা ও ছেলের উপর মানসিক টর্চার করত রূপায়ন। রূপায়ন এমনও পায়েলকে বলেছিল বাচ্চাটাকে কোনো এক অজানা জায়গায় ছেড়ে আসতে। এরপর অজিতেশ বলল ‘তুই-ই বল, আমি কি পায়েলকে বিয়ে করে ভুল করেছি ?’

সুজিত পায়েল বৌদির দিকে তাকিয়ে দেখলো, বৌদির দু চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছে। সুজিত বললো– আমাদের তো তুমি এত কিছু বলোনি ? কাষ্ঠহাসি হেসে অজিতেশ বলল– ‘ তুই আবার মাকে কিছু বলিস না।’

কমলার চিন্তাতেও এসব আসেনি। সুজিত হঠাৎ করে শ্রাবণের এক মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির বিকেলে অনুকে নিয়ে এল। অনুর হাতে শাঁখা, কপালে সিঁদুর।

অনু, সেই নার্স যে সুজিতের বাবার দেখভাল করত। ক্যানিং-এ বাড়ি। একেবারে নিম্ন মধ্য পরিবারের নম্র, ভদ্র মেয়ে। নার্সিং পাশ করেছে। কালো। মুখে একটা আলগা লাবণ্য।

কমলা বিস্মিত। সুজিত অনুকে বলল, প্রণাম করো মাকে । ‘আমার বৌ অনু’, দাদা অজিতেশকে সে রাজি করে ফেলেছে এ বাড়িতে পাকাপাকি থাকার জন্য।

সুজিত এও জানে অনু পারবে দাদা ও পায়েলের স্প্যাসটিক বাচ্চার দায়িত্ব নিতে। তার মা-এর দায়িত্ব নিতে। সুজিত জানে সে স্বার্থপর হচ্ছে। তবু তো সবাই একসঙ্গে থাকা যাবে ।

আর স্মৃতিকে বিয়ে করলে তাকে চলে যেতে হবে, নিউ আলিপুরে । অনিল কুণ্ডু এই আভাসই দিয়ে রেখেছিলেন। স্মৃতি খুব আদুরে, একমাত্র মেয়ে । সে নিউ আলিপুর ছেড়ে কামালগাছি থাকতে পারবে না ।

সুজিত এও জানে, এরপরে তার ট্রান্সফার হবে কোন রিমোট এলাকায়। কিন্তু বাড়িতে ছুটিতে এলে, আবার সবাই একসঙ্গে।

অনু বিকেলের আলোর মত মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, বারান্দায়। মাধবীলতার গন্ধ। অনেকদিন পর সুজিত মাধবীলতার গন্ধ গভীরভাবে টেনে নিল। বাঁ হাতটা অনুর কাঁধে রেখে।

♦♦♦♦    ♦♦♦♦    ♦♦♦♦


  • Tags:

Read by: 77 views

❤ Support Us
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
homepage billboard publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!