Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ১১, ২০২৪

মোদির সমালোচনায় সরব ভাগবত।অশান্ত মণিপুর নিয়ে কী বললেন আরএসএস নেতা ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মোদির সমালোচনায় সরব ভাগবত।অশান্ত মণিপুর নিয়ে কী বললেন আরএসএস নেতা ?

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিস্ফোরণ আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। তাঁর দাবি, নির্বাচনে শালীনতা বজায় রাখা হয়নি। শুধু এখানেই শেষ নয়, পরোক্ষভাবে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে অহংকারী বলেও অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি মণিপুর প্রসঙ্গেও নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।

নতুন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন নাগপুরে আরএসএস কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কার্যকর্তা বিকাশ ভার্গের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পর আরএসএস নেতা ও কর্মীদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় নির্বাচনে যে শালীনতা বজায় রাখা হয়নি সে কথাও উল্লেখ করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বলেন, ‘নির্বাচনকে যুদ্ধ হিসেবে নয়, প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখা উচিত। নির্বাচনের সময় যেভাবে দুই পক্ষ একে অপরকে নিন্দা করেছিল তাদের সামাজিক বিভাজন তৈরি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে কেউ পরোয়া করেনি। যে কোনও কারণেই সংঘকে এতে টেনে আনা হয়েছিল। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসত্য ছড়ানো হয়েছে। এইভাবে দেশ চলবে কী করে? আমি এটাকে বিরোধী পক্ষ বলি না, প্রতিপক্ষ বলি। বিরোধী দল আর প্রতিপক্ষ এক নয়। এটা অবশ্যই ভাবা উচিত। যদি আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের এভাবেই কাজ করতে হবে। তাহলে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রয়োজনীয় শালীনতা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। সেই শালীনতা বজায় রাখা হয়নি।’

পরোক্ষভাবে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে অহংকারী হিসেবে উল্লেখ করে আরও বলেন, একজন সত্যিকারের সেবকের কখনো অহংকার থাকে না। অন্যদের কোনও ক্ষতি না করে কাজ করে। তাঁর কথায়, ‘একজন সত্যিকারের সেবক কাজ করার সময় শালীনতা বজায় রাখে। সৌজন্য বজায় রেখে সে তার কাজ করে যায়। আমি এটা করেছি, ওটা করেছি এই বলে কোন অহংকার করে না। তাদের সত্যিকারের নিজেকে সেবক বলার অধিকার রয়েছে।’

মণিপুরে ক্রমাগত হিংসা নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা ব্যক্ত করেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘মণিপুরের সমস্যার দিকে কে মনোযোগ দেবেন ? অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মনিপুরের সমস্যা সমাধান করতে হবে। সর্বত্রই সামাজিক বৈষম্য রয়েছে। গত এক বছর ধরে মণিপুর শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। গত এক দশক ধরে মনিপুর শান্তিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ করে যে বন্দুক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তাতে মণিপুর জ্বলছে। এটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোকাবিলা করা কর্তব্য।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!