- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
নতুন বছরে ডিএ -র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের “জনসংযোগ যাত্রা”, ১৯ জানুয়ারী কলকাতায় মহা মিছিল
নবান্নের দুয়ারে ধর্না শেষ হতে না হতেই নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহে “জনসংযোগ যাত্রা”-র কথা ঘোষণা করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যজুড়ে এই জনসংযোগ যাত্রা হবে বলে ঘোষণা করা হল। ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই মিছিল হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, হাজরা মোড় থেকে বেরিয়ে ধর্মতলা যাবে। দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তিনদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শনিবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এই কথা জানান।
শুক্রবার নবান্নর দুয়ারে আদালতের অনুমতি নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শোনাবার বিকেল চারটে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে নবান্নের সামনে। শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই মঞ্চে সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী এবং শেষ দিন শনিবার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ গিয়েছিলেন।
আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি, ৪০ শতাংশ ডিএ দিতে হবে। এটা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হকের দাবি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ডিএ বাধ্যতামূলক নয় ঐচ্ছিক। রাজ্য সরকার যখন সম্ভব তখন ডিএ দেবে। কলকাতা হাই কোর্টে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার হেরে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। ন্যায্য ডিএ না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। নতুন বছর থেকে নতুন উদ্যমে এই আন্দোলন শুরু হবে। ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন স্তব্ধ করতে পারবে না।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা সুবীর সাহা বলেন, “নবান্ন-র সামনে এর আগে কেউ আন্দোলন করতে পারেনি। আমরা সেটা করে দেখলাম। আমাদের এই আন্দোলনে বসতে সুবিধা করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলনে যদি তিনি না বসতেন তাহলে আমাদের নবান্নের সামনে আন্দোলনে বসা সহজ হতো না। অভিষেক রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে অবস্থানে বসে আমাদের নবান্নের সামনে বসা সুবিধাজনক করে দিয়েছেন। আমরা নবান্নর সামনে আন্দোলনে বসে অন্য গণসংগঠনের আন্দোলনের জন্য নবান্নের সামনে বসাকে সহজ করে দিলাম।
❤ Support Us