- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
কর্মবিরতিতে বাড়ছে রোগীদের মৃত্যু, অবিলম্বে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে সুপ্রিম নির্দেশ । আরজি কর মামলার পরববর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর

আর জি করের ঘটনার আজ এক মাস পূর্ণ হলো। গত ০৫.০৯.২০২৪ এই কেসের দ্বিতীয় শুনানির কথা থাকলেও, সেই দিন তা স্থগিত থাকে। গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকার ও কলকাতার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন তোলেন।
আজকের শুনানিতে বেশ কিছু দিক উঠে এসেছে। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বে়ঞ্চ জানায়, সোয়াপ স্যাম্পেলের রিপোর্ট আবার করাতে হবে এএইমস বা অন্য কোনো রাজ্য থেকে।সিএফএসএল( CFSL) গুলির রিপোর্ট নিতে হবে। নতুন করে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। ময়না তদন্তের দ্বারা ঘটনার পুননির্মান করা সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন করে আর তা সম্ভব না হলেও যে সমস্ত স্যাম্পেল আছে তা আবার পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৭ সেপ্টেন্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষণা করা হয় শীর্ষ আদালতের তরফে। তার আগে সোমবার সমস্ত তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে।
বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে আজকের শুনানিতে। জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের বে়ঞ্চ প্রশ্ন করেন, দুপুর ১:৪৭ এ ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হলো, ২:৫৫ এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হলো। মাঝে একটি জেনারেল ডায়রি করা হয়। এই সময়ের ব্যবধান কেন?
আরজি করের তৎকালিন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি হাসপাতাল থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে। তিনি কখন ঘটনা স্থলে পৌঁছেছেন ? তাঁর পরবর্তী কাজই বা কী ছিল?
সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, যে ফুটেজ স্টোর হয়েছিল, সেখানে ২৭ মিনিটের ৪ টি ক্লিপিংস পাওয়া যাচ্ছে, কেন পূর্ণ ক্লিপিংস নেই বা দেওয়া হয়নি ? সেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল জানান, এই ঘটনা কোনো ‘টেকনিক্যানল গ্লিচ’-এর কারণে হয়ে থাকতে পারে।
আজকের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে বহু রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন, তাই আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। নাহলে রাজ্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও আদালতের কিছু বলার থাকবে না। অন্যদিকে, ডাক্তারদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তাদের বক্তব্য, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কোনো দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেয়নি। ৯ই আগস্টের পরেও ১৪ ই আগস্টই আবার আক্রান্ত হন তারা। তাছাড়া, সিনিয়র সমস্ত ডাক্তার কাজ করছেন অবিরাম। জুনিয়ার ডাক্তাররাও টেলি মেডিসিন, অভয়া ক্লিনিকসহ সমস্ত পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত,যে সেন্ট্রাল ফোর্সকে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সি আই এস এফ-এর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনো সহযোগীতা তাদের করা হচ্ছে না। থেকে যাচ্ছে বহু প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত কি সুবিচার মিলবে, তার জন্য ১৭ তারিখের দিকে নজর রাজ্যবাসীর।
❤ Support Us