- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১২, ২০২৩
বিধি না মেনে কমিটি গড়লে বিলম্বিত হয় ন্যায় বিচার, যৌন হেনস্থায় মামলায় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরগুলোতে যৌন হেনস্থা বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের জন্য যথাযথ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার আদালত জানায়, যৌন হেনস্থা বিরোধী আইন, ২৯০১৩ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা থেকে যাচ্ছে। দেশের শিশু ও মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এব্যাপারে আরো কঠোর ও উদ্যোগী হয়ে ওঠা প্রয়োজন।
কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই এনিয়ে সরব বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠন। এ ব্যাপারে আইন তৈরি হয়েছে। তবে, তার বাস্তবে প্রয়োগ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বতন বিভাগীয় প্রধান অরল্যাণ্ডো ফার্নাণ্ডেজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। বিচারপতি হিমা কোহলি ও এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যৌন হেনস্থা প্রতিরোধী কমিটি যদি সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি না হয়, তাহলে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া গোড়াতেই থমকে যায়। এ বিষয়ে যাতে বিধিবদ্ধ আইন-কানুন মেনে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সে ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।
বিচারপতিরা আরো জানান, যে অন্তর্তদন্ত কমিটি তৈরি হবে, তার গঠনতন্ত্র ও বিধি , কমিটি সদস্যদের ইমেল আই ডি ও ফোন নাম্বার , অনলাইনে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মকানুন নির্দিষ্ট সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠানকে তাঁদের ওয়েবসাইটে রাখতে হবে। যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে সমস্ত মেয়েরা যাতে সচেতন হন তাঁর জন্য নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করতে হবে প্রতিষ্ঠানকে। নির্যাতিত ব্যক্তি যাতে ন্যায়বিচার দিতে যাতে কোনো শৈথিল্য না থাকে তা নিশ্চিত করা অবশ্যই জরুরি।
যৌনহেনস্থার অভিযোগে গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিভাগীয় প্রধান অরল্যাণ্ডো ফার্নাণ্ডেজে। উচ্চ আদালত ইসির সিদ্ধান্ত বাতিল করলেও শীর্ষ আদালত আগের রায়ই বহাল রাখে। তবে, যৌন হেনস্থা প্রতিরোধে সুপ্রিম নির্দেশ শেষ পর্যন্ত কতটা কার্যকর হবে তা অনিশ্চিত।
❤ Support Us