- Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ৫, ২০২৫
ঠাকুরবাড়িতে ‘ভাই বনাম ভাই’, ফাটল মতুয়া মহাসংঘে। সুব্রতর নতুন সংগঠন, উপদেষ্টার তালিকায় প্রথম নাম শুভেন্দুর
ধর্ম ও রাজনীতির মিশেল, না কি মতুয়াদের তুষ্টকরে ঠাকুরবাড়িতে ভাঙ্গন ধরিয়ে বিজেপির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা! এই আবহেই ঠাকুরবাড়িতে ফের ফাটল! মতুয়া রাজনীতির দুই মুখ,শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুর, এবার স্পষ্টতই আলাদা পথে পা রাখলেন। দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরনগরে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বহু জল্পনা চলছিল, অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন আলাদা এবং এক নতুন মতুয়া সংগঠন, যার নাম ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ”। ফলে ঠাকুরবাড়িতেও এবার প্রকাশ্যে শুরু হচ্ছে বিজেপি-তৃণমূল জোর টক্কর।
এতদিন ঠাকুরনগরের একই রেজিস্ট্রেশনে দুটি সংগঠন সক্রিয় ছিল—একটির নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, অন্যটির নেতৃত্ব ভাগ করে নিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু এবারে সেই একই রেজিস্ট্রেশনের অধীনে গঠিত হয়েছে তৃতীয় এক সংগঠন, যার ঘোষক স্বয়ং বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।
নতুন কমিটির প্রধান সেবায়েত হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে বাবা মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর ও মা ছবি রানি ঠাকুরের। তবে সবচেয়ে বড় চমক দেখা গেছে উপদেষ্টা মণ্ডলীতে—প্রথমেই নাম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, সঙ্গে রয়েছেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক যেমন অসীম সরকার, অশোক কীর্তনীয়া, স্বপন মজুমদার প্রমুখ।
নতুন সংগঠন ঘোষণা করে সুব্রত ঠাকুর বলেন, “কোটি কোটি মতুয়া রয়েছেন! সমাজের কল্যাণের জন্য যত সংগঠন দরকার, ততই হবে। তিনটে কেন, প্রয়োজনে পাঁচটি কমিটি গঠিত হোক।”
দুই ভাইয়ের দূরত্ব নিয়ে প্রশ্নে সুব্রতের বক্তব্য, “দূরত্ব ভাইদের মধ্যে নয়, সংগঠনের দালালদের সঙ্গে। তাদের সরানো না গেলে নতুন সংগঠন গড়া ছাড়া উপায় ছিল না।”
অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুরের প্রতিক্রিয়া অনেকটাই সংযত, “ঠাকুরবাড়িতে প্রত্যেকেরই নিজস্ব সংগঠন গড়ার অধিকার আছে। আমি চাই, কেউ বঞ্চিত না হন। নতুন সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, সেই কামনা করি।”
মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী বলেন, “পরিবার বড় হয়েছে, তাই সংগঠন ভাগ হয়েছে। তবে একসঙ্গে থাকা গেলে আরও ভাল হত। এখন লড়াইটা আসলে ঠাকুরবাড়ির নিয়ন্ত্রণ ও বিজেপির অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নিয়ে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন ফাটল শুধু পারিবারিক নয়—বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। আসন্ন নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে এই ‘ভাই বনাম ভাই’ সংঘাত বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তবে ধর্ম ও রাজনীতি মিলেমিশেই যে ঠাকুরবাড়িতে ভাঙ্গন ধরালো সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল।
❤ Support Us








