Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ৩০, ২০২২

করোনা বাড়ছে, দ্রুত গতিতে প্রিকশন ডোজের প্রস্তুতি। শঙ্কা নিয়েও ইদের কেনাকাটায় উজ্জীবিত জনজীবন ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
করোনা বাড়ছে, দ্রুত গতিতে প্রিকশন ডোজের প্রস্তুতি। শঙ্কা নিয়েও ইদের কেনাকাটায় উজ্জীবিত জনজীবন ।

দেশের একাধিক রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। আশঙ্কা, আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ। বাস্তবে কী ঘটবে বলা কঠিন । দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ । সেই তুলনায় বাংলার গ্রাফ এতটা ঊর্দ্ধমুখী নয়।রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫২ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ০.৪৩ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৯৩ শতাংশ। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩০৯ জন। হাসপাতালে ভরতি ২৬ ।এপ্রিল জুড়ে বাংলায় করোনায় কারোর মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় এর ব্যতিক্রম নেই । গত তিন বছরে করোনার বলি হয়েছেন, ২১ হাজার ২০১ জন। মৃত্যুর হার এ পর্যন্ত ১.০৫ শতাংশ।

বাংলাদেশে চতুর্থ ঢেউয়ের আভাস নেই, এক্ষেত্রে মূত্যুহীন । প্রথম, দ্বিতীয়, তূতীয় দফায় সংক্রমণ ও মূত্যু হঠাৎ বেড়ে যায় । টিকার আকাল দেখা দেয়। প্রতিবেশি ভারত সহ কয়েকটি দেশ এগিয়ে আসে। নিয়ম মাফিক ব্যবসা-বাণিজ্য চলতে থাকে । সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি । দেশের সবচেয়ে বড়ো শিল্প গার্মেন্টস বহাল রাখে তার ব্যবসা-বাণিজ্য । রমজান মাসে পরিস্থিতি বদলায় নি । আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত । ঢাকা শহরের প্রায় তিন কোটি বাসিন্দার বড় অংশ ইদের কেনাকাটা শেষে এখন গৃহমুখী । সিএনজি, রিক্সা রিতীমতো চলছে । রিক্সা চালকদের আয় কমছে। সিএনজির কমেনি। দুর্বোধ্য ট্রাফিক জামেও একজন সিএনজি চালকের আয় মাসে অন্তত ৯৯ হাজার । রিক্সার আয় ৩৩হাজার । বাসের আয় কমেছে । চারদিকে উড়ালপুলের ছড়াছড়ি । যাত্রীবাহি যানজটের ভয়ে যথাসম্ভব উড়ালপুল এড়িয়ে চলে । সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গড়তে উদ্যোগী । শাহবাগ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিরতীহীন মেট্রোরেল ও বাস চলাচলের রোড নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে । এরকম বহুমুখী নির্মাণেও জনতা খুব একটা খুশি নয় । কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবূদ্ধি । সরকার পণ্যমূল্যকে আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলা দেশে শ্রীলহ্কার মতো উদ্ভট পরিস্থিতি তৈরি হবে না ।

যদি আশঙ্কা সত্যের চেহারা নেয় এবং করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ে, তাহলে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশকেও ভুগতে হবে । নিয়তির স্বেচ্ছাচার থেকে কারও রেহাই নেই । এক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত আর বাংলাদেশকে আরও কাছাকাছি আসতে হবে । ওষুধ বিনিময়ে স্বাস্থ্যকে অধিকতর স্বাস্থ্যময় করে তোলা অপরিহার্য্য । সৌজন্য প্রদর্শনে প্রতিবেশী দুই দেশর কার্পণ্য নেই । হাসিনা ইতিমধ্যে উদার হৃদয়ে  চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে ভারতকে ছাড় দেওয়ার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন । এবার মালবাহী জাহাজ যাতায়াত শুরু করবে । উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে, ভূ ভারতের সামগ্রী দ্রুত এবং কম খরচে পৌঁছে যাবে।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!