- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২৭, ২০২৩
ধর্মতলায় শাহি সভা ।প্রচার মিছিল ঘিরে শাসক বিরোধী শিবিরে জোর তরজা
আগামী ২৯ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে ধর্মতলার ভক্তোরিয়া হাউস সংলগ্ন স্থানে রাজ্য বিজেপির বঞ্চিতদের নিয়ে ডাকা মিছিলে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের সব জেলার পাশাপাশি কলকাতার গারিয়াহাট থেকে হাজরা পর্যন্ত রাজপথ জুড়ে সোমবার কাজের দিনে মিছিল করল রাজ্য বিজেপি। এই মিছিলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা, মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ত্ব ছিলেন।
এই মিছিল থেকে অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইনসিকিউরিটি ফুটে উঠল আমাদের ২৯ নভেম্বরের সভায় বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে। তৃণমূল সরকারে আছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করে নিয়েছেন, তিনি যেহেতু শাসক দলে আছেন তাই ধর্মতলায় সভা তিনি ও তাঁর দলই শুধু করতে পারবে।”
এদিকে কুণাল ঘোষ এই সভাকে কেন্দ্র করে বলেন, “এ যেন তৃণমূলকে ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সভা করতে দেখে বিজেপির শখ হয়েছে। তাই কাক হয়ে ওরা ময়ূর পুচ্ছ লাগিয়ে ময়ূর সাজার চেষ্টা করছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতায় লোক আনার। আমরা শুনছি বিজেপি ওই দিন কলকাতায় লোক আনার জন্য ৭টি ট্রেন বুক করেছে। ভালো তারা এখানে এসে চিড়িয়াখানায় বাবুকে যেমন দেখবেন, তেমন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারকে দেখবেন। শুনছি ওই সভায় বঞ্চিতদের অভিযোগ জানবার জন্য ড্রপ বাক্স রাখা হবে, সেই ড্রপ বক্সে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ জানাবেন, তাঁকে কেন ডাকা হয় না। অনুপম হাজরা অভিযোগ জানাবেন, ত্বকে কেন ডাকা হয় না।”
সোমবার বীরভূমের রামপুরহাটে শুভেন্দু অধিকারী ২৯ নভেম্বরের সভার সমর্থনে সভা করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন, তাই দুবার আমাদের সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ওই দিন সভায় দুটো দাবি থাকবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং আর একটি দাবি হচ্ছে চোর ধরতে কলকাতা যেতে হবে।”
এদিকে ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ জুল্যের আন্দোলনে বাম সরকারের পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৩জন কর্মীর প্রাণ গিয়েছিল। ২১ জুলাই তৃণমূলের কাছে একটা আবেগ। এর জন্য তৃণমূলকে নির্বাচন খুঁজতে হয় না। যখন নির্বাচন থাকে না তখনও তৃণমূল ২১ জুল্যের ধর্মতলার শহিদ দিবসের সভা করে। আর বিজেপি তৃণমূলকে দেখে ভোটের আগে ধর্মতলায় সভা করছে।”
এদিকে ২৯ নভেম্বরের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকবেন, তাই সোমবার সভা মঞ্চের জায়গায় সিআরপিএফ, সিএসএফ, কলকাতা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা আধিকারিকদের নিয়ে সভার নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করে। ঠিক হয় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হবে ২৯ নভেম্বরের সভা মঞ্চ। সভাস্থল সংলগ্ন উঁচু ভবনে থাকবে নিরাপত্তা রক্ষীরা।
❤ Support Us