- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ১৫, ২০২৩
নওশাদের ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পরই,ভাঙড়ের আইএসএফ-গড়ে ভাঙ্গন ধরাল ঘাসফুল
আইএসএফ -এর ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ঘোষণা করেছেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে ঘরে পাঠিয়ে দেবেন। এই ঘোষণা শোনা মাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, প্রাণ থাকতে তিনি ডায়মন্ড হারবারের মানুষের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন হতে দেবেন না। নওশাদের এই ঘোষণার পর থেকে যে তৃণমূল থিম নেই, সেটা তৃণমূল বুঝিয়ে দিল। এবার ভাঙড়ে বড় ধাক্কার মুখে পড়তে হল ভাঙড়ের বিধায়ককে। ভাঙড়ে আইএসএফের মধ্যে ভাঙন ধরাল তৃণমূল।
ভাঙড়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরেও ভাঙড়ে আইএসএফের ভাঙন ধরাতে সক্ষম হয় তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে অনেক আইএসএফের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করছেন বলে তৃণমূলের দাবি। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও দাবি করেছিল তৃণমূলের। মঙ্গলবার আবার বড় ধাক্কার মুখে পড়তে হল নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ কে।
মঙ্গলবার ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা ও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা মহম্মদ ইদ্রিশ মোল্লা। তিনি চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কৃষ্ণমাটি গ্রামের আইএসএফের বুথ সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েই তিনি তাঁর পূর্বের দলকে এবং দলের নেতাকে নিশানা করেছেন।
ইদ্রিস মোল্লা সওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েই নিজের পুরনো দলকে নিশানা করেছেন দলত্যাগাী এই আইএসএফ নেতা। ইদ্রিশ বলেছেন, “গ্রামের উন্নতির জন্যই আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। এতদিন এই এলাকায় কোন উন্নতি করতে পারেনি আইএসএফ। তৃণমূল যে ভাবে গোটা রাজ্যে উন্নতি করছে, তাতে এখন আমাদের এলাকায়ও উন্নতি হবে। এই আশায় আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি।”
এদিকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে নিশানা করেছে তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। বিধায়ক ও ভাঙড়ে দলের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লা বলেছেন, “আইএসএফের বিধায়ক হয়ে বসে আছেন। কিন্ত নওশাদ সিদ্দিকির কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর গত আড়াই বছরে তিনি ভাঙড়কে আরও পিছিয়ে দিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে কোনও মন নেই তাঁর। আগামী দিনে এই এলাকায় তৃণমূলের শক্তি আরও বাড়বে।”
ডায়মন্ডহারবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছেন নওশাদ। তাঁকে হারিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নওশাদ। আইএসএফ বিধায়ককে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। নওশাদের পালটা অভিষেক জানিয়েছেন, প্রাণ থাকতে তিনি ধর্মের নামে ডায়মন্ডহারবারের মানুষকে ভাগ হতে কিছুতেই দেবেন না। আগামী লোকসভা ভোটের আগে ডায়মন্ডহারবার নিয়ে পারদ আরও চড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি। শুধু মাত্র নওশাদ বলেছেন তিনি অভিষেককে পরাজিত করবেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। তাতেই তৃণমূলের আইএসএফ ভাঙানোর এই তৎপরতা দেখে বিরোধী শিবির বলছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন তাই জয়নগরে সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে তৃণমূল। এবার ভাঙড়ে আইএসেফকে ভাঙছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, শূন্যের ক্ষমতা আছে।
❤ Support Us