Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ২৪, ২০২৩

“অভিষেক ছাড়া দল অসম্পূর্ণ, কারো কারো সিদ্ধান্তে দলে মুখপাত্রদের কাজ করা কঠিন হচ্ছে , অতিরিক্ত মনোবল তৃণমূলকে বিপদে ফেলছে”, বিস্ফোরক কুণাল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“অভিষেক ছাড়া দল অসম্পূর্ণ, কারো কারো সিদ্ধান্তে দলে মুখপাত্রদের কাজ করা কঠিন হচ্ছে ,  অতিরিক্ত মনোবল তৃণমূলকে বিপদে ফেলছে”, বিস্ফোরক কুণাল

তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব নিয়ে কী এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল অভিষেক ছাড়া অসম্পূর্ণ। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মেগা বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রাখা উচিত ছিল। এটা তাঁদের ঠিক করা উচিত ছিল যাঁরা ওই মেগা বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দরকার আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দরকার। মমতা অভিষেক ছাড়া অসম্পূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য যাঁরা পাশে দাঁড়িয়ে যান তাঁদের এটা দেখা উচিত ছিল। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম আছেন। তাঁদের এই বিষয়টা দেখা উচিত ছিল, কেন অভিষেকের ছবি মঞ্চে রাখা হল না।”

কুণাল ঘোষের এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায় দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে।বৃহস্পতিবারের নেতাজি ইনডোরে মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি কোনও ফস্টুন, ফ্লেক্স, স্ট্যান্ডিতে দেখা যায়নি।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন,  ‘‘এখন অভিষেকের ছবি ছাড়া তৃণমূলের মঞ্চ অসম্পূর্ণ। এটা হতে পারে না। এটা ঠিক হয়নি।” সেই সঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘অভিষেক না থাকলে মমতাদি একলা পারবেন না তা যেমন নয়, তেমনই তৃণমূল না করলে অভিষেকের চলবে না এমনটাও নয়।’’

অন্যদিকে কুণাল ঘোষ এদিন ধর্মতলায় বিজেপির ২৯ নভেম্বরের সভায় হাই কোর্টের অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে বেশ আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করেন। বলেন এই সভা নিয়ে দলের যা অবস্থান তাতে দলের মুখপাত্র হয়ে পরিস্থিতি সামলাতে তাঁর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বিজেপির ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কুণালের বক্তব্য, কোর্টে পৌঁছলে কোর্টের হাওয়ায় যে মামলার গতি বোঝা যায়, বিচারপতিদের মনোভাব বোঝা যায়, সেখানে কোনও কোনও বিষয়ে রোজ আদালতে রাজ্য সরকারকে অপদস্থ হতে হচ্ছে। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্রের অভিযোগ, ‘‘কারা উপর মহলকে পরামর্শ দেয়? রোজ নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে মুখপাত্রদের কাজ কঠিন হচ্ছে।’’ এখানেই থামেননি কুণাল। তাঁর কথায়, ‘‘এক বার ভুল হলে মানা যায়। কিন্তু ১৪ বার একই ভুল হচ্ছে! তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। মুখপাত্রদের কাজ হল, দল ভুল করলেও সেটাকে ঠিক বলে বাজারে বিপণন করা। কিন্তু বার বার ভুল হতে থাকলে সেই কাজে আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে।’’

এদিন কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামা বাড়ির আদরে চারটি দফতর দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর উত্থান তৃণমূলে। ও তৃণমূলের প্রোডাক্ট। এখন বিজেপির বিধায়ক হলেন শুভেন্দু। লোডশেডিংয়ে জিতলেন। ওঁর নন্দীগ্রামে ৩০ হাজার ভোটে হারার কথা। লোডশেডিংয়ে জেতা নিয়ে মামলা হল। তার পর দল সেই মামলা নিয়ে কি করেছে? আমি তো কিছু দেখিনি।”

এ প্রসঙ্গে কুণালের অভিযোগ, যাঁরা দলকে পরামর্শ দেন, তাঁদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেই রোজ বেইজ্জত হতে হচ্ছে। দলের সৈনিক হিসেবে আমি মনে করি, ২১ জুলাই ওখানে সভা করার অধিকার তৃণমূলের রয়েছে। আবার নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটা দল করলে বাকিরা করবে না কেন? আদালত তো আইনের চোখেই দেখছে।’’ কুণাল এ-ও মনে করেন, বিজেপির সভার বিরোধিতা করতে গিয়ে এর ফলে চার আনার বিজেপি ১২ আনার প্রচার পেয়ে গেল। তাদের সেই প্রচারটা পাইয়ে দেওয়া হল। স্পষ্টতই কুণালের তির যে সরকার এবং প্রশাসনের দিকে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। কুণাল বলেন, “অতিরিক্ত মনোবল তৃণমূলকে বিপদে ফেলছে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!