- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১০, ২০২৩
নীরব দর্শক নয়, নারীর মর্যাদা রক্ষায় আরও সক্রিয় হোক স্থায়ী কমিটি। চিঠিতে আর্জি সুস্মিতার

যন্তর-মন্তরে অবস্থানরত ক্রীড়াবিদদের সমর্থন জানালেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। সংসদের স্থায়ী কমিটির উদ্দেশে তাঁর বার্তা, দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের সঙ্গে যা হয়েছে ,তাতে কমিটি কোনোমতেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। এব্যাপারে সংসদে আলচনা হওয়া প্রয়োজন। সরকারের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলা উচিত বলে জানান তিনি।
আন্দোলনরত মহিলা কুস্তীগিরদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বুধবার সংসদের শিক্ষা, মহিলা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন বিবেক ঠাকুরকে চিঠি দিলেন সুস্মিতা। বিজেপি সাংসদকে তিনি বলেছেন, যৌন হেনস্থার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা কোনোমতেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক আয়োজন করবার প্রস্তাব দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি আরো লিখেছেন, যে সব মহিলারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের আহ্বান। সরকারি নীতি ও কার্যকলাপের ওপর যে কমিটি সর্বদা নজর রাখছে , তাঁদের এই সময়ে কোনমতেই আলংকারিক সংস্থা হিসেবে নিজেদের ভূমিকা সীমিত রাখা উচিত নয়।
শুধুমাত্র ক্রীড়াবিদরা নয়, ২০১৮ সালে সরকারি- বেসরকারি ক্ষেত্রে যেসমস্ত মেয়েরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের হয়েও সওয়াল করেন সুস্মিতা। তিনি জানান, নিপীড়িত মেয়েদের ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে সে সময় রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও তার পরিণতি কী হল সে সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এক্ষেত্রে বলা দরকার, সে সময় এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও এমন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সুস্মিতার মতে, দেশের মেয়েরা আজ ক্রীড়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিচ্ছেন। আজকের মেয়েরা বহির্মুখী। তাই কাজের জগতে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হচ্ছে কিনা তা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ হোক বা অন্য কোনো কর্মক্ষেত্র– যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার বিরোধী আইন দেশে রয়েছে। তার যথাযথ প্রয়োগ যাতে হয়, সে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।
❤ Support Us