- প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ৭, ২০২২
আমি নাটক করি না। দম থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুক, তৃণমূলকে দিলীপের চ্যালেঞ্জ

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশ পরিচয় নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ । তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি এবং ইকো পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে স্বভাবসিদ্ধ ভাবে সমস্ত অভিযোগ ওড়ালেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। পাল্টা হুঙ্কার ছড়িয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যত আদালত রয়েছে সব জায়গায় কেস করেছে। যত থানা রয়েছে, সব জায়গায় এফআইআর করেছে। এর বেশি তৃণমূল কিছ্ছু করতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলেন, আমি সেটা বলেছি। আমি তো নাটক করিনি। রাজ্যপালকে ‘ন্যাকা’ বলে ডেকে, আবার তাঁর পায়ে পড়তে গিয়েছে। নির্লজ্জ, বেহায়ার দল। লজ্জা করে না। আমি তো রাস্তায় রয়েছি। পুলিস পাঠাও, দম থাকলে গ্রেফতার করো। চোরের দল, সব কটা চোর ডাকাত। দিলীপ ঘোষের দম রয়েছে চোখে আঙুল দেওয়ার, তাই দিয়েছি। দরকার হলে চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে বলব। ভবানীপুরে গিয়ে বলব। চোরকে চোর বলব, ডাকাতকে ডাকাত বলব। দম থাকলে গ্রেফতার করুক।
পাল্টা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজভবনে যায় তৃণমূল । রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ‘কঠিন সাজা’র দাবি জানান রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘আমরা মর্মাহত। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন নির্বাচিত সাংসদ, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন এবং যেভাবে অপমান করেছেন, অবিলম্বে তার প্রতিকার হওয়া দরকার। দিলীপ ঘোষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। রাজ্যপালের কাছে ওর কঠিন সাজার দাবি করেছি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজভবন এসেছিল তৃণমূলের আট সদস্য প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন —শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ সাজদা আহমেদ, তৃণমূলের উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায়, নারী ও শিশু সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা ও দক্ষিণ কলকাতা সংসদ সদস্য মালা রায় । রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় বৈঠক হয় তাঁদের।সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই দিলীপের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালের আচরণ দেখে অনেকেই তাঁকে রাজ্য বিজেপির চিফ পেট্রোন বলে মনে করেন। কিন্তু, এখন রাজ্যপাল কে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি সবার রাজ্যপাল। কথায় কথায় তিনি টুইট করেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে এখনো তার অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেননি। তবে আমরা আশা করব তিনি অবশ্যই এ বিষয়ে কোনও না কোনও ব্যবস্থা নেবেন।’
❤ Support Us