Advertisement
  • Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১৬, ২০২৩

১৮ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
১৮ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর

দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস জাতীয় সরোবর রবীন্দ্র সরোবর। এই জাতীয় সরোবরকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে আগামী ১৮ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ২০ নভেম্বর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সরোবর বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ। কলকাতা পুলিশ উল্লিখিত দিনগুলিতে রবীন্দ্র সরোবর পাহারায় থাকবে। আগামী ১৯ নভেম্বর ছটপূজা। প্রথা অনুযায়ী জলে নেমে ওই দিন সকাল ও সন্ধ্যায় সূর্যের পূজো করার রীতি। তাই ফল, ফুল নিয়ে প্রচুর মানুষ রবীন্দ্র সরোবরে নেমে যদি পূজা করেন তাহলে সরোবরের জল যেমন দূষিত হবে তেমন জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে, মাছ, জলজপ্রাণী,উদ্ভিদ এবং এখানকার গাছে থাকা অসংখ্য পাখি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তাই পরিবেশ বাঁচাতে, রবীন্দ্র সরোবরকে বাঁচাতে প্রশাসনের এই উদ্যোগ।

গত ২০১৯ সালে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপূজার দিন গেট ভেঙে, টিনের প্রাচীর ভেঙে একদল মানুষ ছটপূজার নামে রবীন্দ্র সরোবরে তান্ডব চালিয়েছিল। সেই সময় রবীন্দ্র সরোবরকে বাঁচাতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যিনি কেএমডিএ-র মন্ত্রী,তিনি বলেছিলেন, মানুষের আবেগ ছিল, পুলিশ বাঁধা দিলে অঘটন ঘটতে পারত। তবে তারপর ২০২০ সাল থেকে কেএমডিএ-র তরফ থেকে ছটপূজার আগের ও পরের দিন, ছটপূজার দিন সহ, রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখা হয়ে আসছে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আগে থেকেই ঘিরে ফেলা হয় রবীন্দ্র সরোবরকে। এর ফলে ২০২০,২০২১,২০২২ সালে জাতীয় সরোবরে ছটপূজা হয়নি। এই বছরও রবীন্দ্র সরোবরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা জরতে কেএমডিএ ১৮ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখার নোটিশ সরোবরের সবকটি গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ কেএমডিএ-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “২০২০,২০২১,২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও আশা করব কেএমডিএ এবং কলকাতা পুলিশ কড়া ভাবে এই জাতীয় সরোবরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।”

প্রতিদিন সকাল, সন্ধ্যা মিলিয়ে লেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষের পদচিহ্ন পড়ে। দক্ষিণ কলকাতাকে অক্সিজেন সরবরাহ করে রবীন্দ্র সরোবর। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এবং জলজ প্রাণী, মাছ, জলজ উদ্ভিদ, পাখিদের প্রাণ রক্ষা করতে এবং সর্বোপরি রবীন্দ্র সরোবরে জল, বায়ু ও শব্দদূষণ আটকাতে সরকারের এই ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ।


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
error: Content is protected !!