- Uncategorized দে । শ বৈষয়িক
- ডিসেম্বর ৮, ২০২২
৩০ হাজার প্রান্তজনকে শীতে জাকিরের শীতবস্ত্র।রাজনীতির সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক

ছবি: ফেসবুক
৩০ হাজার প্রান্তজনের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়ে, সফল শিল্পপতির সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আবার উঁচিয়ে ধরলেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী আর ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত বিধায়ক জাকির হোসেন । জাকির ঔরাঙ্গাবাদের বাসিন্দা, জঙ্গীপুর থেকে পরপর দুবার বিজয়ী । দুষ্কূতিদের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে দীর্ঘদিন প্রায় অচল থাকতে হয় তাঁকে । এরকম অবস্থায়ও, বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন । সম্ভবত শারীরিক অসুবিধার জন্য দ্বিতীয় দফায় তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি । এখন নেতৃত্বের নির্দেশে আর স্বেচ্ছায় দলের কাজে তাঁর সর্বময় ব্যস্ততা । পাশাপাশি নিজের শিল্প কারখানার তদারকি, পণ্যের উৎপাদন আর ব্যাপক সমাজসেবাও তাঁর আত্ম নিবেদনের অপরিহার্য অভিমুখ ।
সম্পদবৃদ্ধি কিংবা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিত্তশালীর স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে জাকির রাজনীতির সংস্পর্শে আসেননি । সামাজিক কাজকর্মকে ছড়িয়ে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবাদর্শে প্রাণিত হয়ে, তাঁরই ডাক পেয়ে রাজধানীতে যোগ দেন । প্রথমবারের ভোটেই স্থাপিত হল প্রায় অদ্বিতীয় দৃষ্টান্ত । স্থানীয় দুর্বৃত্ত আর কোন্দল প্রবণরা জাকিরের গ্রহণযোগ্যতা আর দলের ভেতরে ও বাইরে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখে আঁতকে উঠল । সরাসরি খুনের ছক কষল । নিমতা স্টেশনে বোমা হামলা চালিয়ে অকেজো করে দিল একটি পা আর দেহের নিম্নাঙ্গ । দীর্ঘ চিকিৎসার পর চলাফেরার শক্তি ফিরে পেয়েছেন জাকির । অসুস্থ, অচল অবস্থায়ও থমকে যায়নি তাঁর রাজনীতি আর সমাজসেবা । রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগেও তাঁর সেবাকর্মের বিরতি ছিল না । পুজোয়, ইদে সর্বহারা মানুষকে পোশাক, রমজানে প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং শীতে বস্ত্র উপহার তাঁর পরিচালিত শিব ইন্ডাস্ট্রিজের অবশ্য পালনীয় শর্ত হয়এ ওঠে । বহু স্কুল, অধিকতর উচ্চশিক্ষা অর্জনের প্রতিষ্ঠান গড়েছেন ঔরাঙ্গাবাদের এই উদ্যোগপতি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর ছাত্র শিক্ষকদের নিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসবে মেতে ওঠা তাঁর প্রাণচাঞ্চল্যের আরেক দিগন্ত ।

পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর সিএমডি সমাজদরদী মোস্তাক হোসেন ছবি: লিঙ্কডিন থেকে
জাকিরকে কেবল রাজনীতি আর শিল্প গড়ার দক্ষতা দিয়ে যাচাই করা উচিত নয় । তাঁকে বুঝতে হলে, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁর ছায়াহীন শৈশব, শৈশবের কঠোর পরিশ্রম আর পারিপাৰ্শ্বিকের দারিদ্রকে স্পর্শ করে ক্রমাগত হয়ে ওঠার অভিপ্রায় ।এক্ষেত্রে, গ্রামীণ বাংলায় শিক্ষা প্রসারের সর্বোচ্চ পথিক ও সমাজদরদী মোস্তাক হোসেন জাকিরের নিকটাত্মীয় এবং আদর্শ । অর্জিত বিত্ত আর কোমল চিত্তের সংযোগ ঘটিয়ে, এই অগ্রজ-অনুজ নিঃশব্দে যে দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছেন, বাঙালির সামাজিক ইতিহাসে, শিল্প বা বাণিজ্যের নির্দেশিত দায়িত্ববোধের বৃত্তান্তেও তা অনুকরণীয় ভাবাদর্শ হয়ে থাকবে । জাকির গঠনশীল রাজনীতির সঙ্গা বদলে দিচ্ছেন, সঙ্কটে, উৎসবে মানুষের পাশে থাকার আহবানকে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী করে তুলছেন । কেবল মাঠ নয়, আম দরবারে নয়, তাঁর সেবামূলক রাজনীতি হৃদয়নীতিতে পরিপুষ্ট, উদ্বুদ্ধ ।
❤ Support Us