- Uncategorized এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ । তীব্র নিন্দা জেলেনেস্কির, দায় অস্বীকার ক্রিমলিনের

এবার উইক্রেনের পরমাণু চুল্লিতে ড্রোন হামলা । পুতিন প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন জেলেনেস্কি । যদিও ১৯৮৬-র ভয়াবহ চেরনোবিল পরমাণু কান্ডের পুনরাবৃত্তি হয়নি এবার । তবে ইউক্রেনের পরমাণু চুল্লির বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভয়ঙ্ক ভাবে, দাবি ইউক্রেন প্রশাসনের ।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে ১০০টি বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন নিয়ে, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে, চেরনোবিল পরমাণবিক কেন্দ্রের বহিরাংশে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী । পরে এবিষয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনেস্কি বলেছেন, এটি একটি নাশকতামূলক আক্রমণ, যা গোটা বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করেছে। এবিষষে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, আজ ভোর রাতে বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন আছড়ে পরে চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের চতুর্থ শক্তি স্তম্ভের বহিঃগাত্রে । এনিয়ে তার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন।
Last night, a Russian attack drone with a high-explosive warhead struck the shelter protecting the world from radiation at the destroyed 4th power unit of the Chornobyl Nuclear Power Plant.
This shelter was built by Ukraine together with other countries of Europe and the world,… pic.twitter.com/mLTGeDYgPT
— Volodymyr Zelenskyy / Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) February 14, 2025
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রেডিয়াম ভর্তি ডোমে সেই ড্রোন আঘাত হেনেছে। এরপরই ভয়াবহ বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পরে সেখানে, আঘাতে কেঁপে ওঠে চারদিক। ডোমের বহিরাংশ ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ডোমের ওপরের অংশে বিস্ফোরণে একটি গর্ত হয়ে গেছে। এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে ইউক্রেনের প্রসিডেন্ট বলেছেন, সারা বিশ্বে একমাত্র রাশিয়াই এরকম দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ করতে পারে। তাদের লক্ষ পরমাণু কেন্দ্র গুলোকে নিজেদের দখলে নেওয়া। এই ধরনের আক্রমণের ফলাফল গোটা বিশ্বের আবহাওয়ায় কি ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে, সেকথা বিবেচনা না করেই ক্রিমলিনের তরফে এই অভিযান। তাঁর আরও সংযোজন, ড্রোন আক্রমণে পরমাণু জ্বালানি কক্ষের বহিরাংশের ক্ষতি হলেও, কক্ষের ভেতরে ও বাইরে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা এখনো নিয়ন্ত্রণে।
আন্তর্জাতিক পরমাণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ (IAEA) পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে। ড্রোন বিস্ফোরণের পর পরমাণু কেন্দ্রের অগ্নিদগ্ধ ছবিও তারা প্রকাশ করেছেন। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধে, আগ্রাসী পুতিন বাহিনীর আক্রমণ যেকোনো মুহুর্তে ইউক্রেনের পারমাণবিক চুল্লিতে আঘাত এনে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটাতে পারে, এনিয়ে বহু আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এই যুদ্ধের প্রথমার্ধেই ইউক্রেনের জাপরোইজহিয়ায় পরমাণু চুল্লির দখল নিয়েছিল পুতিন বাহিনী।তার নিয়ন্ত্রণ এখনো রুশ বাহিনীর হাতেই।
যদিও রুশ বাহিনীর তরফে জেলেনেস্কির অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের পরমাণু কেন্দ্রে তারা ড্রোন হামলা চালাননি। এপ্রসঙ্গে ক্রিমলিনের মুখপাত্র ডেমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে ড্রোন হামলা সংক্রান্ত কোনো খবর তাঁর কাছে নেই।
১৯৮৬ সালের এপ্রিলে, চালনোবিলে পরমাণবিক কেন্দ্রে একটি আকস্মিক দুর্ঘটনায় বায়ুতে ছড়িয়ে যায় তেজস্ক্রিয়তা। রাতারাতি জনবহুল ওই শহর খালি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। সেই ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনার রেশ এখনো অব্যাহত, বহু মানুষ সেই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ শিকার।
❤ Support Us